রোজার নিয়ত, রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ এবং গুরুত্ব ও নিয়ম

নিয়তের অর্থ হলো কোন কাজ করার ইচ্ছা বা সংকল্প।রোজার ক্ষেত্রে, নিয়ত বলতে বোঝায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রমজান মাসের রোজা রাখার ইচ্ছা।

মনে মনে এই ইচ্ছা করাই যথেষ্ট, মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা বাধ্যতামূলক নয়।

তবে, মুখ দিয়ে নিয়ত উচ্চারণ করার কিছু ফজিলত রয়েছে।

আরবি রোজার নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ

নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। তুমি আমার পক্ষ থেকে আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

নিয়তের গুরুত্ব

• রোজা সহীহ হওয়ার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক।

• নিয়তের মাধ্যমে রোজার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।

• নিয়তের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।

নিয়তের সময়

• সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী সূর্যাস্তের পূর্বে যেকোনো সময় রোজার নিয়ত করা যায়।

• তবে, সুবহে সাদিক (ভোরের আলো ফোটার) পূর্বে নিয়ত করে নেওয়া উত্তম।

অন্তরে রোজা রাখার ইচ্ছা করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।তবে, অনেকে আরবিতে নিয়ত করতে পছন্দ করেন।

উদাহরণ:

• ধরুন, একজন ব্যক্তি রমজান মাসের রাতে ঘুম থেকে উঠে সাহরি খেলেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেলেন মুখ দিয়ে নিয়ত করতে।

• এই অবস্থায়, যদি তার মনে রোজা রাখার ইচ্ছা থাকে, তার রোজা গ্রহণযোগ্য হবে।

তবে, মুখ দিয়ে নিয়ত উচ্চারণ করার কিছু ফজিলত রয়েছে।

• নিয়ত উচ্চারণ করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

• নিয়ত উচ্চারণ করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং রোজার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।

সুতরাং, রোজার নিয়ত মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা না হলেও গ্রহণযোগ্য হলেও, তা করার কিছু ফজিলত রয়েছে।