তেঁতুলের উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
তেঁতুল জনপ্রিয় ফল। ফলটি মিষ্টি এবং টক। এর স্বাদের জন্য এটি সুপরিচিত। বিশেষ করে, মেয়েদের কাছে এটি খুবই প্রিয় ফল। এই অনন্য স্বাদ ছাড়াও, এর অনেক গুণ রয়েছে।
এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীনকাল থেকে তেঁতুল তার ঔষধি বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, গলা ব্যথা, এমনকি সানস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে, এটি ত্বকের যত্ন এবং চুলের যত্নেরও অংশ হয়ে ওঠেছে।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণের তালিকা
নিচের তালিকাটিতে তেঁতুলের পুষ্টিগুণ এবং কিছু অতিরিক্ত তথ্য উপস্থাপন করা হল। মনে রাখবেন, এই মানগুলি সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে, কাঁচা ফল, বা ঘনীভূত ফলের উপর নির্ভর করে।
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে আনুমানিক পরিমাণ | দৈনিক চাহিদা মূল্য (%DV)* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ২৩৯ কিলোক্যালোরি | ১২% |
মোট চর্বি | ০.৬ গ্রাম | ১% |
সোডিয়াম | ২৮ মিলিগ্রাম | ১% |
পটাসিয়াম | ৬২৮ মিলিগ্রাম | ১৩% |
মোট কার্বোহাইড্রেট | ৬৩ গ্রাম | ২১% |
ডায়েটারি ফাইবার | ৫.১ গ্রাম | ২০% |
চিনি | ৩৪ গ্রাম | ৩৮% |
প্রোটিন | ২.৮ গ্রাম | ৬% |
ভিটামিন বি১ (থিয়ামিন) | ০.৩৪ মিলিগ্রাম | ২৮% |
ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাবিন) | ০.১৫ মিলিগ্রাম | ১১% |
ভিটামিন বি ৩ (নিয়াসিন) | ১.৯ মিলিগ্রাম | ১২% |
ভিটামিন সি | ৪ মিলিগ্রাম | ৫% |
ক্যালসিয়াম | ৭৪ মিলিগ্রাম | ৭% |
লোহা | ২.৮ মিলিগ্রাম (খাঁটিতে বিশেষভাবে বেশি) | ১৬% |
ম্যাগনেসিয়াম | ৯২ মিলিগ্রাম | ২৩% |
ফসফরাস | ১১৩ মিলিগ্রাম | ১১% |
দৈনিক চাহিদা মূল্য (DV) ২,০০০ ক্যালোরি মানের একটি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।
তেতুলের উপকারিতা
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। এর পাতা, ছাল, ফলের কাঁচা ও পাকা শাঁস, পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সবকিছুই উপকারী। এর কচিপাতায় রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড।
পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় কাজ দেয়। তেঁতুলের কিছু উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হ’ল।-
হজম জনিত সমস্যা দূর করে
নিয়মিত তেঁতুল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই আমাদের অন্ত্রের গতিবিধি সহজ করে। প্রাচীনকাল থেকে তেঁতুল কোষ্ঠকাঠিন্যর ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক এবং টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। ডায়রিয়া জনিত পেটে ব্যথা কমাতে তেঁতুলের ছাল এবং মূলের নির্যাস কার্যকরভাবে নিরাময় করতে পারে।
লিভারের সমস্যা সমাধান করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, তেঁতুলের নির্যাস গ্রহণের ফলে লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায়। এতে থাকা প্রোকিয়ানিডিনগুলো লিভারের ফ্রি র্যাডিকাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তেঁতুল খনিজ সমৃদ্ধ। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম লিভারের লিপিড সামগ্রীগুলোকে ফ্রি র্যাডিকাল আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
হার্টের স্বাস্থ্যর উন্নতি করে
তেঁতুল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল হ্রাস করে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্রণ করে
তেঁতুলের পাল্পে কার্ব-ব্লকিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরকে কার্বোহাইড্রেট শোষণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তেঁতুল বেশ উপকারি। এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। তেঁতুলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা অগ্ন্যাশয়কে প্রদাহজনক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে
তেঁতুলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে এটি বিভিন্ন অঞ্চলে প্রধান ঔষধি উদ্ভিদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকান উপজাতিরা, প্রাচীন কাল থেকে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় জন্য এটি ব্যবহার করে আসছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে অনেক সময় জ্বর হয়। এ ক্ষেত্রে, তেঁতুলের রস বেশ কার্যকর।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ফ্রি র্যাডিকালগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটিতে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তেঁতুল গলা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা দূর করতেও সহায়তা করে।
চোখের জন্য ভাল
তেঁতুল চোখের ড্রপ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। এটি কনজেক্টিভাইটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে। প্রাচীনকালে চোখ সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য তেঁতুল ব্যবহৃত হত।
চুলের যত্নে
তেঁতুল চুলের যত্নের জন্য একটি কার্যকর উপাদান। মাথার ত্বকে তেঁতুলের রস লাগান। এটি ফলিকলের বৃদ্ধি ঘটাবে। চুলকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
মাথার ত্বকের ফলিকলের বৃদ্ধি ঘতায়। তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি চুলকে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। চুলকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তুলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তেঁতুলের রস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যাদুর মত কাজ করবে। সর্দি, কাশি, ফ্লু দুর করবে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে শরীর থাকে জীবাণুমুক্ত।
ক্যানসার বিরুদ্ধে লড়াই করে
তেঁতুলে সক্সলেট মিথেনলিক এক্সট্রাক্ট রয়েছে। যা ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। যেহেতু তেঁতুল উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তাই এটি ক্যান্সারের কোষগুলো নির্মূল করে।
ত্বক উজ্জ্বল এবং এক্সফোলিয়েট করে
তেঁতুলের পাল্প যুগ যুগ থেকে ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তেঁতুলে আলফা-হাইড্রোক্সি অ্যাসিড রয়েছে। এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তেঁতুলের এএইচএগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং টারটারিক অ্যাসিড।
ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে এবং দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পেতে তেঁতুলের রস ব্যবহার করুন। এই এএইচএগুলির পাশাপাশি এতে চিনি এবং পেকটিনও রয়েছে। যা আপনার ত্বককে হাইড্রেট রাখে। ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে। অকাল বার্ধক্য রোধ করতে তেঁতুল বেশ কার্যকর।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমানোর যাত্রায় তেঁতুল অনেক কার্যকর একটি উপাদান। বেশি ওজন হলে হৃদরোগ, কিডনি, লিভারের ব্যাধিগুলির ঝুঁকি বেড়ে যায়। তেঁতুল খেলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তেঁতুল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটাতে সাহায্য করে।
পেপটিক আলসার রোধ করে
পেপটিক আলসার বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পেটে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে হয়। এই আলসার খুবই বেদনাদায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে তেঁতুল বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে পেপটিক আলসার সেরে যায়। আসলে তেঁতুলে উপস্থিত পলিফেনলিক কম্পাউন্ড আলসার সারিয়ে তোলে বা হ’তে দেয় না।
সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে
তেঁতুল অ্যালার্জি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
তেতুলের অপকারিতা/সাবধানতা
- কিছু ঔষধ আছে সেসব ঔষধ সেবনের সাথে তেঁতুল খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করবে। যেমন অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সিন এর মতো নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগ, অ্যান্টি-প্লাটিলেগ ড্রাগ ও রক্ত পাতলা করার মেডিসিন, যেমন- হেপারিন, ওয়ারফেরিন ইত্যাদি। তাই যারা তেঁতুল খেতে অভ্যস্ত তারা ঔষধ সেবনের সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- মাত্রাতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তের সিরাম গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হ’তে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি তেঁতুল না খাওয়া। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই তেঁতুল খেতে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
- তেঁতুলের প্রভাবে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু মানুষের মধ্যে র্যাশ, চুলকানি, ইনফ্লামেশন, অজ্ঞান হওয়া, বমি ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। তাই তেঁতুল খেলে যাদের এইসব অসুবিধা মনে হবে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- তেঁতুলে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড। তাই নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত তেঁতুল খেলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়।
- গবেষকরা প্রমাণ দিয়েছেন যে, বেশি পরিমাণে তেঁতুল খেলে পিত্তথলিতে পাথর সৃষ্টি হয়। ফলে জন্ডিস, তীব্র জ্বর, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, লিভার ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হ’তে পারে।
তেতুল কখন খেতে হয়
স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধ-রোদ্দুর থেকে ঘুরে এসে তেঁতুলের টক-মিষ্টি সরবত খেতে পারেন, আরাম পাবেন। স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধে তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকরী। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা বা সর্দিকাশি থেকে সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গোলমরিচ মেশানো তেঁতুলের পানীয় উষ্ণ করে খান।
তেঁতুলের ভেষজ ও পুষ্টিগুণ
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণুরোধক গুণ আছে তেঁতুলের৷ তাই এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়৷
প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় কাটাছেঁড়া শুকাতে সাহায্য করে৷
রক্তের কোলেস্টেরল কমায়৷
শরীরের মেদ কমাতেও সাহায্য করে৷
খিদে ও রুচি বাড়ায়৷
গর্ভাবস্থায় বমিভাব দূর করে৷
মুখের লালা তৈরি হয়, ফলে মুখ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে৷
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে৷
মুখে ঘা ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে৷
পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যেকোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি৷
প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ২৪০ ক্যালরি শক্তি রয়েছে৷
তেতুল পাতার বৈশিষ্ট্য
তেঁতুল পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এগুলো হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে কাজ করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল কমাতেও এই চা উপকারী। তেঁতুল পাতার চা পান করা পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী।
তেতুলের আচার রেসিপি
উপকরণ
তেঁতুল– ১ কেজি
চিনি– ১ কেজি/ গুড় ৪ কাপ
সরিষারতেল – ১ কাপ
আস্তপাঁচফোড়ন – ২ চা চামচ
টালা জিরা গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
টালা ধনিয়া গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
টালা শুকনো মরিচ গুঁড়ো –৪-৫ টি(ঐচ্ছিক)
লবণ– পরিমাণ মতো
বিটলবণ– সামান্য(ঐচ্ছিক)
ভিনেগার– ৩–৪ টেবিল চামচ
প্রণালী
তাওয়ায় আস্ত জিরা, ধনিয়া, শুকনা মরিচ আলাদা করে ৩০ সেকেন্ড করে ভেজে এক এক করে ব্লেন্ডারে বা পাটায় বেটে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন।
এক কাপ কুসুম গরম পানিতে তেঁতুল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পরে হাত দিয়ে ভালো করে কচলিয়ে কাঁথ বের করে নিন।
তেঁতুলের কাঁথ চালনি দিয়ে চেলে কাঁথ আর বিচি আলাদা করে নিন, চাইলে অল্প কিছু বিচি রেখে দিতে পারেন ।
ফ্রাইপ্যানে সরিষার তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন দিন । হালকা ভাজা হলে তেঁতুলের কাঁথ দিয়ে নাড়তে থাকুন । পানি না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অনবরত নাড়ুন।
তারপর একে একে স্বাদমত লবন এবং চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন । আচার আঠালো হয়ে আসলে মরিচের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
আচার বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ভিনেগার মিশাবেন
One Comment