স্ট্রবেরির উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
বাজারে এখন স্ট্রবেরি দেখতে পাবেন। দেশেই চাষ হচ্ছে এ ফল। স্ট্রবেরির আদি বাস ইতালির রোমে। দারুণ স্বাদ আর নানা উপকারিতার জন্য দ্রুত ফলটির কদর ছড়িয়ে পড়ে সারা ইউরোপে। ফ্রান্সে স্ট্রবেরিকে বিশেষ কদর করা হয়।
লাল টুকটুকে স্ট্রবেরি দেখলে লোভ সংবরণ করা দায়। এতে ক্যালরির পরিমাণ বিস্ময়করভাবে কম। কিন্তু এর পুষ্টিমান আবার অনেক বেশি। সুগন্ধি এ ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি থাকে। পুরো এক কাপ স্ট্রবেরিতে মাত্র ৫০ ক্যালরি!
দইয়ের সঙ্গে, সালাদে, জুসে, এমনকি সালসা তৈরি করে খেতে পারেন স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণের তালিকা
নিচের তালিকাটিতে স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ এবং কিছু অতিরিক্ত তথ্য উপস্থাপন করা হল।
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে পরিমাণ | দৈনিক চাহিদা মূল্য (%DV)* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ৩২ কিলোক্যালোরি | ২% |
মোট চর্বি | ০.৩ গ্রাম | ০.৫% |
সোডিয়াম | ১ মিলিগ্রাম | ০% |
পটাসিয়াম | ১৫৩ মিলিগ্রাম | ৪% |
মোট কার্বোহাইড্রেট | ৮ গ্রাম | ৩% |
ডায়েটারি ফাইবার | ২ গ্রাম | ৮% |
চিনি | ৪.৯ গ্রাম | ৫% |
প্রোটিন | ০.৭ গ্রাম | ১% |
ভিটামিন সি | ৫৯ মিলিগ্রাম | ৬৫% |
ফোলেট (ভিটামিন বি ৯) | ২৪ মাইক্রোগ্রাম | ৬% |
ম্যাঙ্গানিজ | ০.৪ মিলিগ্রাম | ১৮% |
দৈনিক চাহিদা মূল্য (DV) ২,০০০ ক্যালোরি মানের একটি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।
স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা
স্ট্রবেরি খেতে যতটা মজাদার এর বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে আসা যাক এর উপকারিতা গুলো
স্ট্রবেরি চুল পড়া রোধ করে
স্ট্রবেরি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখেএবং চুল পড়ার রোধ করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুল ভেঙে যায়। এই সব সমস্যা দূর করার জন্য স্ট্রবেরি খাওয়া উপকারী।
কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। চুল সুস্থ রাখতে নারকেল তেল এবং কিছু পরিমাণে মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে নেওয়া পর, হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়ার কমে যাবে তার সঙ্গে চুলের সাইন ফিরে আসবে।
স্ট্রবেরি ত্বক সুস্থ রাখে
স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরি মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে স্ট্রবেরির মধ্যে।
এই উপাদানটির জন্য এই স্ট্রবেরির রং লাল হয় এবং চকচকে হয়। এই উপাদানটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই একে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য স্ট্রবেরী খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
স্ট্রবেরি প্রদাহ কমাতে সহায়ক
স্ট্রবেরি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা পলিফেনল এবং পুষ্টিগুণ হাঁটুর ফোলা ভাব, ব্যথা সবই কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ির প্রদাহ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
স্ট্রবেরির মধ্যে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার।এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি।
স্ট্রবেরি কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় সাহায্য করে
স্ট্রবেরি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরি মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখের ছানি এবং চোখের অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড যৌগটি পরিমাণ বৃদ্ধি চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য উপকারী
স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরির মধ্যে অ্যাফ্রোডিসিয়াক নামক একটি উপাদান পাওয়া যায় যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে পুরুষত্বহীনতায় উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে।
স্ট্রবেরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড গুলি যা বয়সের সাথে স্মৃতিশক্তি রোধ করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের মনকে চাপ মুক্ত করে রাখতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
স্ট্রবেরি আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ, স্ট্রবেরির মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
এছাড়া ও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে দ্রবনীয় ফাইবার যা খারাপ কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
স্ট্রবেরি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
আর মজবুত রাখতে স্ট্রবেরি খুবই উপকারী উপাদান। সাধারণত, স্ট্রবেরিকে বেরির অধীনে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এবং বর্ধিত বয়সের কারণে,
দুর্বল হয়ে পড়া হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রেখে বেরিগুলোকে সহায়ক বলে মনে করা হয়। এছাড়াও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি ওজন কমাতে সহায়ক
স্ট্রবেরি হল একটি ফল, যা কম ক্যালরিযুক্ত ফল। তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ স্ট্রবেরির মধ্যে মাত্র ৫০ ক্যালোরি থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি খাওয়ার পরে আপনার পেট অনেক সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। তাই আপনাদের খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি অন্তর্ভুক্ত করে আপনাদের ওজন কমাতে পারেন।
স্ট্রবেরি হার্ট সুস্থ রাখে
স্ট্রবেরির মধ্যে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং পলিফেনল যৌগ সমৃদ্ধ। তাই স্ট্রবেরি আমাদের হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে।
স্ট্রবেরি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক
স্ট্রবেরি ক্যান্সারের মতো মরন রোগের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং ক্যান্সার থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য।
যা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর প্রভাব দেখাতে পারে। তাছাড়াও স্ট্রবেরির মধ্যে আছে কেমোপ্রিভনটিভ বৈশিষ্ট্য, যা ক্যান্সারে কোষের বিস্তার রোধ করতে কাজ করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রবেরি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও উপকারী।
স্ট্রবেরি দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
দাঁতের ক্ষতি না করে দাঁত সাদা করতে চাইলে স্ট্রবেরি ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ট্রবেরি দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি দাঁতের হলদে ভাব দূর করে এবং দাঁতকে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে প্ল্যাক এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী এনজাইম তৈরিতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
স্ট্রবেরি অপকারিতা
উপকারিতার সাথে এর বেশ কয়েকটি অপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে আসা যাক এর অপকারিতা গুলো
- স্ট্রবেরি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাস ডায়রিয়া অম্বল ইত্যাদি হতে পারে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
- স্ট্রবেরি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাছাড়াও এতে, হিমোক্রোমাটোসিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
- স্ট্রবেরী অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পেতে পারে। ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রবেরি কিভাবে ব্যবহার করা যাবে
- স্ট্রবেরি সরাসরি অথবা কাটার পর খাওয়া যেতে পারে।
- জুস করেও খাওয়া যেতে পারে স্ট্রবেরি।
- ফলের সালাদে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে স্ট্রবেরি।
- স্ট্রবেরি স্যুপ বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
- আবার স্ট্রবেরির আঁচার বানিয়েও রুটির সাথে খাওয়া যেতে পারে।
স্ট্রবেরি কত টাকা কেজি
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। কিছুদিন পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। জানুয়ারির শেষের দিক থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যাবে। প্রতি কেজি ফল বিক্রি হচ্ছে বাজারে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ
স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, পলিফেনল, এলাজিক এসিড, ফেরালিক এসিড, কুমারিক এসিড, কুয়েরসিটিন, জ্যান্থোমাইসিন ও ফাইটোস্টেরল। ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: স্ট্রবেরির ভিটামিন সি এর উপস্থিতি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি করে।
মৌসুমী ফল হিসেবে আশীর্বাদ
সবসময় এক রকম ফল যেমন আপেল, আঙুর, কমলা খেতে কারই বা ভালো লাগে! মাঝে মাঝে স্বাদে পরিবর্তন নিয়ে আসা উচিত। এছাড়াও পুষ্টিকর কিছু সবসময় খাবারের তালিকায় প্রথমে থাকা উচিত। এখন স্ট্রবেরির সময়। তাহলে এই সুস্বাদু ফলটি কেন বাদ যাবে নিজের খাবারের তালিকা থেকে!
স্ট্রবেরির মৌসুম খুব বেশি সময় থাকে না। তাই যে কদিন আছে শরীরে ভিটামিনের পর্যাপ্ত চালান নিয়ে নেওয়া উচিত। এই ফল দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
যে কোনো খাবারের সাথে খাওয়া যায়
সকালের নাস্তাটা একটু ভারি খেতে অনেকে পছন্দ করেন। এমন কিছু যা অনেক সময় পেটে থাকে। আর এ তালিকায় রয়েছে ওটস, দই, ফলের সালাদ, মাফিনসহ আরও অনেক কিছু। এ সব কিছুর সাথেই স্ট্রবেরি দিয়ে খাওয়া যায়। এতে স্বাদ পূর্বের থেকে আরও বেড়ে যায়।
সকালের নাস্তার ঝামেলা কমায়
পরিবারের জন্য হোক কিংবা নিজের জন্য হোক, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকালে নাস্তা তৈরি করা অনেক কষ্টের। মাঝে মাঝে বোঝা মনে হয়। রসালো এই ফলটি সকালের তীব্র ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বেশ চমৎকার ভাবে। স্ট্রবেরিকে একটা ধন্যবাদ তো দেওয়া উচিত।
স্ট্রবেরিতে কোনো ফ্যাট নেই
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তায় রয়েছেন, তারা প্রত্যেকদিন স্ট্রবেরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় সহজে। মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে এমন কিছু সকালে খাওয়ার থেকে ফ্যাট ছাড়া কোনো কিছু খেয়ে তবেই দিন শুরু করা উচিত।
ফ্যাট ছাড়া খাবার স্বাস্থ্যকর। স্ট্রবেরিতে ফ্যাটের পাশাপাশি কোনো কোলেস্টেরল নেই। ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি রয়েছে ৮টা স্ট্রবেরিতে। একটি কমলার থেকে বেশি ভিটামিন-সি দিয়ে থাকে স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি খাবারের তালিকার শেষ নেই
খুব কমই হয়তো ফল আছে যা দিয়ে যে কোনো কিছু তৈরি করা যায়। এর গন্ধ এবং স্বাদ খাবারকে তৈরি করে অনেক বেশি মজাদার। ফল হিসেবে খেলে এর স্বাদের জুরি নেই তেমনি রান্নায় এর তেমন কোনো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
ঘরে স্ট্রবেরি থাকলেই বানিয়ে নিতে পারবেন নানা ধরনের খাবার। চাইলেই বানাতে পারেন স্ট্রবেরি মাফিন্স, খেতে পারেন ওটসের সাথে মিশিয়ে, ব্লেন্ড করে স্মুদি, আবার ইচ্ছে করলে তৈরি করতে পারেন জ্যাম বা জেলি।
স্ট্রবেরি খেতে কেমন
স্ট্রবেরি খেতে টক-মিষ্টি সুস্বাদু।
স্ট্রবেরির রং কি
স্টবেরি রং হলো লাল।
স্ট্রবেরির প্রকার ভেদ
স্ট্রবেরিকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
জুন বিয়ারিং-
এই স্ট্রবেরিটি সবথেকে সাধারণ স্ট্রবেরি এবং জনপ্রিয়। এটা গোটা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। এর ফল সাধারণত জুন মাসে পেকে থাকে। জুন বিয়ারিং স্ট্রবেরি চাষের মধ্যে রয়েছে Earliglow, Honeoye, Allstar, Jewel, ইত্যাদি।
এভার বেয়ারিং-
এই স্ট্রবেরিটি বছরে দুইবার হয়। গ্রীষ্মকাল এবং বসন্তকালে। Everbearing স্ট্রবেরির সব থেকে বেশি পরিচিত জাত হল Laramie এবং Ozark Beauty।
দিন নিরপেক্ষ-
গ্রীষ্মকাল জুড়ে যে স্ট্রবেরি পাওয়া যায় তাকে ডে নিউট্রাল বলা হয়। এই স্ট্রবেরি গুলি সব থেকে বেশি সুস্বাদু বলে বিবেচিত হয়েছে।