পান পাতার উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
পান আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত খাবার। নানী-দাদীদের অনেকেরই অভ্যাস থাকে এ পান পাতা খাওয়ার। তাই বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষও করা হয়। তবে মশলা, সুপারি, জর্দা ব্যবহারে খাওয়ার মধ্যেই পান পাতার উপকারিতা শেষ নয়।
আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্য সমস্যায় পান পাতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে পান খেলে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগকেও প্রতিহত করা যায়। সেক্স লাইফের জন্য পানের মহিমা অপরিসীম। পান খেলে বাড়ে যৌন আকাঙ্খা। শুনতে অবাক লাগছে? গবেষকরা সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন।
জানা যায়, পানের রসে মধ্যে থাকা সুপুরি, চুন, লবঙ্গ, গুলকন্দ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু মাত্র হজম শক্তিই যে পান বাড়ায় তা নয়, সুগন্ধি হিসেবেও কাজ করে পান। পাশপাশি, পানের মধ্যে থাকা গুলকন্দ কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে সচল রাখে শরীরকে। যৌন জীবন সতেজ রাখতে পানের গুনাগুণ অপরিসীম।
পান বাড়ায় কামশক্তি। অর্থৎ, যদি পান খাওয়া অভ্যেস করেন, তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে হয়ে উঠবেন আরো বেশি প্রানচ্ছ্বল।
পান পাতার পুষ্টিগুণের তথ্য
পান পাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ হলো:
- পরিবর্তনশীলতা: পান পাতার পুষ্টিগুণ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- জাত- এর বিভিন্নতা
- লাগানোর পরিবেশ এবং মাটির গুণমান
- পাতার পরিপক্কতা
- সীমিত গবেষণা: পান পাতার পুষ্টিগুণের উপর বিশেষভাবে গবেষণা কম見া যায়, সাধারণত খাওয়া হয় এমন সবজি ও মসলার তুলনায়।
- প্রস্তুতি: পান পাতা সাধারণত বিভিন্ন উপকরণের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়, যেমন সুপারি, খড়, মশলা এবং মিষ্টিকারক। এই উপকরণগুলো পান পাতার পুষ্টিগুণের মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবर्तন করে ফেলে।
যাইহোক, আমি আপনাকে কিছু সাধারণ তথ্য এবং একটি আনুমানিক টেবিল সরবরাহ করতে পারি:
পান পাতার আনুমানিক পুষ্টিগুণের তালিকা
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে আনুমানিক পরিমাণ | দৈনিক চাহিদা মূল্য (%DV)* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ৪৪ কিলোক্যালোরি | ২% |
মোট চর্বি | ০.৮ গ্রাম | ১% |
সোডিয়াম | ১০-৩০ মিলিগ্রাম | ০-১% |
পটাসিয়াম | ১০০-৪০০ মিলিগ্রাম | ৩-৯% |
মোট কার্বোহাইড্রেট | ১০.৮ গ্রাম | ৩% |
ডায়েটারি ফাইবার | ২.৬ গ্রাম | ১০% |
প্রোটিন | ৩ গ্রাম | ৬% |
ভিটামিন এ | মাঝারি পরিমাণ | পরিবর্তিত হতে পারে |
ভিটামিন সি | গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণ | পরিবর্তিত হতে পারে |
ক্যালসিয়াম | গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণ | পরিবর্তিত হতে পারে |
লোহা | মাঝারি পরিমাণ | পরিবর্তিত হতে পারে |
দৈনিক চাহিদা মূল্য (DV) ২,০০০ ক্যালোরি মানের একটি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।
পান পাতার উপকারিতা
পান পাতার বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে আসা যাক এর উপকারিতা সমূহ
মাউথ ফ্রেশনার
পান পাতা খাওয়ার ফলে যে রস উৎপাদন হয় তা আমাদের দাঁত আর মাড়ি সুস্থ রাখে | এছাড়াও পান পাতার রস আমাদের মুখের ভেতরটা পরিষ্কার রাখে |
এমনকী মুখের মধ্যে রক্তপাতও বন্ধ করে | পান বেটে তার রস এক কাপ হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে রোজ সকালে তা দিয়ে গর্গর করুন | কয়েকদিনর মধ্যেই তফাত দেখতে পাবেন |
নাক থেকে রক্ত পড়া থামায়
অনেক সময় সান স্ট্রোক হওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে | এটা বন্ধ করতে একটা পান পাতা পাকিয়ে তা নাকের মধ্যে গুঁজে দিন | মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রাখেতে হবে |
কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে | আসলে পান পাতা খুব তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে |
কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
পান পাতার আরো একটা বড় বেনিফিট হল এটা কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে | কয়েক ফোঁটা পানের রস আর কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কানের মধ্যে দিলে ব্যথা কমে যাবে |
তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো |
অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
ছোটখাটো কাটা ছেড়ায় পান পাতা বেটে লাগিয়ে দিতে পারেন | এছাড়াও যাদের আর্থারাইটিস আছে তাদের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা |
ডিওডোরেন্টের কাজ করে
বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন | গোসল করার পানিতে কিছুটা পান পাতার রস মিশিয়ে নিন | এই জল দিয়ে চান করলে সারাদিন ফ্রেশ লাগবে | এছাড়াও ঘাম কম হবে |
পান পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি পান করলে ঘামের গন্ধ কমবে | এমনকী মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন স্মেল ও কমবে |
প্রস্রাব করতে সাহায্য করে
বিশেষত কিডনির রোগ আছে যাদের তাদের প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় | এই কষ্ট কমাতে সাহায্য করে পান পাতা | শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পান পাতার |
দুধের সঙ্গে পান বেটে খেলে এই ব্যাপারে সাহায্য পাবেন |
ভ্যাজাইনাল হাইজিন ঠিক রাখে
ভ্যাজাইনাল বার্থের পর তাজা পান পাতা ভ্যাজাইনাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে | এছাড়াও ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা ভ্যাজাইনাল ইচিং ও সারিয়ে দেয়
ত্বকের জন্য ভাল
কম লোকেই জানে পানে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে তা পিম্পল‚ অ্যাকনে সহজেই সারিয়ে তোলে | এছাড়াও বিভিন্ন স্কিন অ্যালার্জি‚ ফুসকুড়ি‚ কালো ছোপ‚ সান বার্ন সারিয়ে দেয় |
এর জন্য কয়েকটা তাজা পান পাতা আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে লাগাতে হবে |
মাথা ব্যথা কমায়
গরমের কারণে মাথা ব্যথা করলে কপালে কয়েকটা পান পাতা রাখুন | এছাড়াও পান পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি মাথা ব্যথা কমে যায় |
অ্যান্টি ফাংগাল
শরীরের যে সব অংশে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে‚ যেমন পায়ের আঙুল‚ প্রভৃতি সেই সব জায়গায় পানপাতার রস লাগান | কয়েকদিনের মধ্যে ইনফেকশন সেরে যাবে |
সতর্কতা বাড়ায়
ইদানিং কি লেথার্জিক লাগছে? তাহলে মধুর সঙ্গে পান পাতা বেটে খান | এতে এনার্জি তো ফিরে পাবেনই একই সঙ্গে মেন্টাল ফাংশানিংও জোরদার হবে |
সর্দি কমায়
বুকে সর্দি জমে গেলে সরিষার তেল আর পান পাতা ভালো করে গরম করে বুকে লাগাতে হবে | এছাড়াও ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে পান পাতা‚ এলাচ‚ লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে গাঢ় করে খেতে হবে |
হজমশক্তি বাড়ায়
সাধারণত খাওয়ার পর পান খাওয়া হয় | এটা করা হয় কারণ পান হজম করতে সাহায্য করে | গ্যাস‚ অম্বলও কমায় | এছাড়াও যাদের কনস্টিপেশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যেও উপকারী |
পেট খারাপ হলে পেটে যে ব্যথা করে অনেকসময় তাও কমাতে সাহায্য করে |
মেটাবলিজম বাড়ায়
নিয়মিত পান খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে | এর ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় | যা বিভিন্ন প্রটিন‚ ভিটামিন‚ মিনারেল অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করতে |
খিদে বাড়ায়
পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক করতে সাহায্য করে পানের রস | এর ফলে পেটে বায়ু হয় না এছাড়াও পেট ফাঁপা কমায় | পান পাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে | এর ফলে খিদে বাড়ে |
ক্ষত নিরাময়ে
পান পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল রাসায়নিক। তাই পান পাতা বেটে ক্ষতস্থানে দিলে দ্রুত ক্ষত নিরাময় হয়। পান পাতা ব্যবহার করলে সংক্রমণের ভয়ো থাকে না। পানের বেদনানাশক গুণ থাকায় ব্যথা হতে মুক্তি মেলে।
গলা খুসখুস কমাতে
গলা খুসখুস করলে পান পাতার ৫ মিলিলিটার রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে আস্তে আস্তে খান। আরাম পাবেন। বিখ্যাত অনেক গায়ক গলা ভাল রাখতে এই সূত্র ব্যবহার করেন।
পান খাওয়ার অপকারিতা
এতক্ষণ পান খাওয়ার উপকারিতা জানতে জানতে হয়ত ভুলে গেছেন পান খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক ও আছে।
এবং পানের সাথে সুপারি, অতিরিক্ত চুন কিংবা ভিন্ন পদের জর্দা খাওয়া যাবে কি না বা খেলে উপকার নাকি ক্ষতি হবে তা জানতে হবে।
- সবসময় খাওয়ার পরে পান খাওয়া উচিত। অর্থাৎ ভরা পেটে পান খাওয়ার জন্য যথ্রথ সময়।
- অতিরিক্ত চুন খেলে দাতের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
- পানের সাথে যেকোনো মানের বা স্বাদের জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের সম্পূর্ণ গুনাগুন নষ্ট হয়। এবং শরীরের জন্য জর্দা মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে।
- অইরিক্ত পান খাওয়ার ফলে মুখে এবং চোখের রোগ হয়ে থাকে। এবং পানের সঙ্গে কোনো ভাবেই অতিরিক্ত সুপারি খাওয়া যাবে না। মনে রাখবেন অতিরিক্ত সুপারি খেলে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হতে পারে।
- অনেকে পানের সাথে খয়ের খেয়ে থাকেন। এটি চরম বোকামি। এতে ফুস্ফফুসে ক্যান্সার হয়।
- জ্বর এবং দাতের সমস্যায় আক্রান্ত হলে পান খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
- পান হচ্ছে উষ্ণ ও পিত্তকারক। তাই এটি শিশুরা এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের পান খাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে।
- খুব কম পরিমাণ সুপারি খেতে হবে। মনে রাখবেন পান শুধু মাত্র রসটুকুই আপনার উপকার। তাই সুপারির পরিমাণ কমিয়ে আনুন।
পান সাধারণত কারা খায়
এমন প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয় যে পান সাধারণত কোন মানুষরা বেশি খায় তাহলে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব না। কারণ পান পাতার প্রচলন অনুযায়ী অঞ্চল ভেদে সব ধরনের সব বয়সের মানুষ পান খেয়ে থাকেন। যা তুলনামূলক কম বা বেশি।
যেমন ধরুন দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বেশিরভাগ বয়স্ক এবং ৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশি পান খেয়ে থাকে।
শুধু পান ই না বরং পানের সাথে সুপারি, চুন এবং নানান রকমের জর্দা খেয়ে থাকে।
তবে শুধু পান খাওয়ায় উপকারিতা এবং চুন সুপারিতে কি কি ক্ষতি হয় তা জানেন না বেশিরভাগ মানুষেরাই।
আবার দেশের উত্তর অঞ্চলের ডিকে দেখলে দেখা যায় ছোট বড় সবাই পান খায় সমান ভাবেই। তাদের কাছে প্রত্যেক বেলা খাবারের পর পান খাওয়া যেন নিওমের মধ্যেই পরে। তবে এটি সব পরিবারে দেখা যায় এমনটা না।
প্রতি ১০০ পরিবারে হয়ত পান খাওয়ার সংখ্যা ৮০ টি পরিবারেই আছে বা তারও বেশি।
পান খাওয়া মূলত নির্ভর করে পানের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানা, মুখে ভালো লাগা, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান, নেশা ধরনের আসক্তি সহ বিভিন্ন কারণে মানুষ পান খেয়ে থাকে।
অতিরিক্ত পান খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত পানি পান করলে ক্লান্তি এবং মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পাতলা হয়ে যায় বলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধি অনেক ক্ষতিকর। এতে দুর্বলতা, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
দুধ খাওয়ার পর পান খাওয়া যাবে কি
পান খাওয়ার পর দুধ খাওয়া উচিত নয় । পানের পর দুধ খেলে দাঁতের সমস্যা এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
পান খাওয়ার নিয়ম
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পান পাতা পিষে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জল ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন। এর ফলে কখনওই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না। পান পাতায় অনেক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ, দাঁত হলুদ হওয়া, এবং দাঁতের ক্ষয় থেকে মুক্তি দেয়।
পান পাতা আর মধু খেলে কি হয়
দেহের ক্লান্তি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য কয়েকটা পান পাতার রস এক চামচ মধু দিয়ে খেলে নাকি তা টনিকের মতো কাজ করে। খাবার হজম হতে সাহায্য করে। পান পাতা সেবনে দেহের চর্বি বা মেদ এবং ওজনও কমে বলে জানা গেছে। পান খেলে লালাগ্রন্থির নিঃসরণ বেড়ে যায়।
পানের জাত
বাংলা, মিঠা, সাচি, কর্পূরী, গ্যাচ, নাতিয়াবাসুত, উজানী, মাঘি, দেশী, বরিশাল ও ঝালি প্রভৃতি জাতের পান বরজে চাষ করা হয়। এছাড়া বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর থেকে উচ্চফলনশীল, বিভিন্ন গুণাবলী সম্পন্ন এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বারিপান-১, বারিপান-২ এবং বারিপান-৩ নামে তিনটি পানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।