নাবিজ খাবার উপকারিতা এবং খাবার নিয়ম
শুকনা খোরমাখেজুর রাতে দুধে ভিজিয়ে রাখলে সকালে যা প্রস্তুত হয়, তাকে নাবিজ বলে। আসলে নাবীজ তৈরি করা হয় দুধ এ কিছু পরিমান খেজুর দিয়ে। এটি তৈরির পর পরিবারের সবাই মজা খেতে পারেন।
উপকারিতা দুধ খাওয়ার চেয়ে একটু বেশিই দুধ সেবনে যে উপকার গুলো পাবেন তা খেজুর মিশ্রণ দুধের তৈরি নাবীজ খেলে, ক্লান্তি দুর হবে, নাবীজে থাকা খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের অভাব পুরন করতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে নাবীজ খুবই প্রয়োজনীয়। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় কয়েক ভাগ পূরণ করতে সাহায্য করবে নাবীজ।
এটি সকালে বা দুপুরে খাওয়ার পর ভরা পেটে খাওয়া যেতে পারে।। ভরা পেটে খাবেন বেশি পরিমানে খাবেন না কারন নাবীজে থাকা দুধ পেটের জন্য অসহ্য হতে পারে তবে ভরা পেটে খেলে তেমন সমস্যা হবে না।
কিন্তু এটা একদিনের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে, অন্যথায় এটা মদে পরিনত হবে। এর উপকার আছে। নিচে এর উপকারীতা দেয়া হলে:
- এটি পাকস্থলীর এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে।
- এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
- এটি শরীর থেকে বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
- এটি স্মরণশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
- এটি মনমরা ভাব দূর করে দেয়।
- এটি গলা,বুক,প্রোস্টেস রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
- এটি এনথ্রাইটিস ও ইউরিক এসিডের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
নাবিজের পুষ্টিগুণ
দুঃখের বিষয়, ঐতিহ্যবাহী পানীয় নাবিজ তৈরিতে ব্যবহৃত খেঁজুরের (শুকনো খেঁজুর) নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণ সম্পর্কে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা পাওয়া যায়নি। কারণ এবং কিছু বিকল্প তথ্য এখানে দেওয়া হল:
- পরিবর্তন: নাবিজ তৈরির পদ্ধতি এবং খেঁজুরের জাতের উপর নির্ভর করে পুষ্টিগুণের মান উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়।
- ঐতিহ্যবাহী পানীয়: গবেষণা সাধারণত কাঁচা বা সামান্য প্রক্রিয়াজাত খেঁজুরের পুষ্টিগুণের মানের দিকে মনোযোগ দেয়, পানীয়টির দিকে নয়।
- খেঁজুরের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন: আমি আপনাকে খেঁজুরের, যা নাবিজের প্রধান উপাদান, পুষ্টিগুণের বিশ্লেষণ দিতে পারি, এটি সম্ভাব্য উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেবে।
খেঁজুরের পুষ্টিগুণের তালিকা (প্রতি ১০০ গ্রামে)
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে পরিমাণ | দৈনিক চাহিদা মূল্য (%DV)* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ২৭৭ কিলোক্যালোরি | ১৪% |
মোট চর্বি | 0.2 গ্রাম | ০% |
সোডিয়াম | ১ মিলিগ্রাম | ০% |
পটাসিয়াম | ৬৯৬ মিলিগ্রাম | ১৫% |
মোট কার্বোহাইড্রেট | ৭৫ গ্রাম | ২৫% |
ডায়েটারি ফাইবার | ৬.৭ গ্রাম | ২৭% |
চিনি | ৬৬.৫ গ্রাম | ৭৪% |
প্রোটিন | ২.৫ গ্রাম | ৫% |
ভিটামিন বি ৬ | ০.২ মিলিগ্রাম | ১০% |
ম্যাগনেসিয়াম | ৫৪ মিলিগ্রাম | ১৪% |
কপার | ০.৪ মিলিগ্রাম | ২০% |
লোহা | ০.৯ মিলিগ্রাম | ৫% |
দৈনিক চাহিদা মূল্য (DV) ২,০০০ ক্যালোরি মানের একটি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।
খেঁজুর সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য
- জাত: অনেক জাতের খেঁজুর আছে (মেজদুল, দেগলেট নুর, ইত্যাদি)। পুষ্টিগুণের মান সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।
- মিষ্টতা: খেঁজুরে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি।
- স্বাস্থ্য বিবেচনা:
- ফাইবার, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
- শুকনো ফল কাঁচা ফলের চেয়ে ক্যালোরিতে ঘন।
নাবিজ সম্পর্কে বিবেচনা
- উপাদান: পানীয়টিতে এমন কিছু উপাদান থাকতে পারে যা এর পুষ্টিগুণের মানকে প্রভাবিত করে।
- চিনির পরিমাণ: তৈরির পদ্ধতির উপর নির্ভর করে,
নাবিজ তৈরির নিয়ম
নাবীজ হলো একটি সৌদিআরব এর একটি স্পেশাল রেসিপি। এটি তৈরি করতে উপকরন লাগবে।
খেজুর ও দুধ
তৈরি:- প্রথমত পরিমান মত দুধ ভালো করে গরম করে নিবেন যাতে দুধ গুলো উতাপাতাল করে নিবেন ।এবং খেজুর নিবেন এবং খেজুর থেকে বিচি গুলো আলাদা করে নিয়ে ফালাই দিবেন।
এবং গরম করা পাতিলে রাখা দুধে খেজুর গুলো ছেড়ে দিন। এবং আবার উক্ত দুধে জ্বাল দিন এবং দুধ যেনো উতলিয়ে ফোম হয়ে পরে না যায় সেক্ষেত্রে চামচ দিয়ে নাড়া দিবেন।এবং বার বার নাড়তে থাকবেন।
যেনো পাতিলের নিচে লেগে না যায় বা সর না বাধে । এভাবে এক সময় দুধটি ঘন ও লাল আকার ধারন করবে, তখন চুলো থেকে নামিয়ে নিয়ে অন্য পাতিলে রেখে রেস্ট দিবেন অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে। এবং ১০-১৫ মিনিট পর তা খেতে পারবেন।
নাবিজ পুষ্টি উপাদান
ক্যালোরি ২৭৭ গ্রাম, ১.৮১ গ্রাম প্রোটিন, মোট চর্বি ০.১৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৫ মিলিগ্রাম, ফাইবার ৬.৭ গ্রাম, খেজুরে ৩% ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন বি রয়েছে ৬০.২৫ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.৩ মিলিগ্রাম, তামা ০.৩৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম।