মুলতানি মিট্টির উপকারিতা, অপকারিতা এবং ব্যবহারের নিয়ম
রূপচর্চায় অর্গানিক উপাদানগুলোর তুলনা অপরিসীম। মুলতানি মাটি এমনই একটি অর্গানিক উপাদান যা বহু যুগ ধরে সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। যুগে যুগে আমরা যতই নতুনত্ব দেখি না কেনো, অর্গানিক উপাদানগুলো এখনো বাজারজাত পণ্য বা প্রোডাক্ট এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি কার্যকরী। তাই রূপচর্চায় এর ভূমিকা ও অনন্য।
এশিয়ান দের মধ্যে মুলতানি মাটি রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরেই। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ব্যবহার এর পর এর উপকারিতা ব্যবহার এবং অপকারিতা সম্পর্কে মানুষ কম বেশি জেনেছে। আজকে আমরা চেষ্টা করবো সেই ধারাবাহিকতায় মুলতানি মাটির ব্যবহার সম্পর্কে জানার।
শুরুতেই জেনে নেই মুলতানি মাটি কোথায় পাওয়া যায়, এর দাম এবং যে মাটি ব্যবহার করছেন তা আসল না নকল তা কিভাবে চিনবেন সেই সম্পর্কে।
মুলতানি মাটির ইতিহাস
অনেকেই হয়তোবা মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, কিন্তু জানেন না মুলতানি মাটি কোথায় পাওয়া যায়। আর এর দাম কত?
মুলতানি মাটি ইংরেজিতে বলা হয় ফুলার আর্থ, এটি এক বিশেষ ধরনের মাটি যা অনেক খনিজ উপাদান দ্বারা গঠিত। এটি একটি ধাতু যার মধ্যে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
এটি পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া হয় না। অল্প কিছু জায়গায় এই মাটি পাওয়া যায়। ১৮০০ শতাব্দীতে পাকিস্তানের মুলতান শহরে এই ধাতু প্রথম পাওয়া যায়, তাই সেই শহরের নাম অনুসারে এই মাটির নাম রাখা হয়েছে মুলতানি মাটি। তারা লক্ষ্য করেছিলো মুলতানি মাটিতে আছে দারুন পরিষ্কার করার ক্ষমতা। সেই তখন থেকেই ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার হয়ে আসছে এই মাটি।
আসল মুলতানি মাটি চেনার উপায়
অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় লাভ করার জন্য নকল মুলতানি মাটি বিক্রি করে থাকেন।যেগুলো অনেক ক্যামিকেল দিয়ে বানানো হয় এবং না বুঝে কিনে ব্যবহার করার ফলে আমরা ধরে নেই যে মুলতানি মাটি আমাদের ত্বকে স্যুট করছেনা বা এটি আপনার ত্বকে আরো খারাপ রিয়েক্ট করছে। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে আসল মুলতানি মাটি চিনে কিনা টা কতটা জরুরি।
মুলতানি মাটি দুই প্রকারেই পাওয়া যায় বাজারে। আস্তো মাটি এবং মাটির গুড়ো হিসেবে।
মুলতানি মাটি অনেক নরম, ছোট ছোট দানাদার একটি মাটি। এটি হাতে নিলে কিছুটা গুড়ো হাতের সাথে লেগে যায় যা ঝেড়ে ফেলে দিলে উড়ে যায় ঠিকই কিন্তু এর হালকা হোয়াইট কাস্ট হাতে লেগে থাকে। এবং এর কিছুটা আঠালো ভাব ও হাতে লেগে থাকে।
এর সুন্দর কিছুটা মৃদু একটি গন্ধ আছে এবং এটি যথেষ্ট ভারী। কিন্তু যেসব মুলতানি মাটি মানুষ বানিয়ে থাকেন সেসব হাতে নেয়ার সাথে সাথে গুড়ো গুড়ো আকারে পড়তে থাকে এবং উৎকট ক্যামিকেল এর গন্ধ আসে।
মুলতানি মাটি কোথায় পাওয়া যায় এবং এর দাম
আজকাল বিভিন্ন অর্গানিক সেলার মুলতানি মাটি বিক্রি করে থাকেন অনলাইনে। এছাড়াও বিভিন্ন শপিং মলে আবার কখনো কখনো লোকাল অর্গানিক সেলার এর কাছেও ভালো মুলতানি মাটি পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম আস্ত মুলতানি মাটির দাম ৩০-৪০ টাকা ১০০ গ্রাম মুলতানি মাটির গুড়োর দাম ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অনেকে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করেন বলে আরো কিছু টাকা বাড়িয়ে নিয়ে থাকেন।
মুলতানি মাটির উপকারিতা
মুলতানি মাটির রয়েছে নানা উপকারিতা। এটি মুখে, শরীরের ত্বক, হাত পা এমনকি চুলের যত্নে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- শরীরের ত্বক বা মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করতে এর জুড়ি নেই।
- এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে।
- এটি ভিতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বক কে নমনীয় ও মসৃণ করে গড়ে তোলে।
- শরীরের কোথাও ঘন কালো দাগ থাকলে নিয়মিত এই মাটির ব্যবহার এ তা দূর হয়।
- ত্বকে ব্রণের প্রভাব কমায়।
- ত্বকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত তৈল ভাব দূর করে।
- ট্যানিং দূর করে।
- একই কাজ মুলতানি মাটি চুলের জন্য ও করে থাকে। মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈল ভাব দূর করে এটি।
- চুল মসৃণ ও সিল্কি করতে সাহায্য করে।
- মাথার ত্বকে কোনো ইনফেকশন বা ফুসকুড়ি থাকলে তা দূর করে।
- চুলে সাইন বা উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।
মুলতানি মাটি দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম
যেকোনো ধরনের স্কিন টাইপ এর মানুষই মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু স্কিন ভেদে ব্যবহার এর ধরন টি শুধু ভিন্ন। নিচে এসম্পর্কে ধারণা দেয়া হলো
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
উপাদান
মুলতানি মাটি ১-২ চা চামচ
লেবুর রস ১-২ ফোটা
গোলাপ জল ২ চা চামচ
বানানোর প্রক্রিয়া এবং ব্যবহার
একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ চা চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে তাতে ১-২ ফোঁটা লেবুর রস এবং গোলাপজল মিক্স করে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে নেড়ে আপনার পরিষ্কার ত্বকে একটি ব্রাশ দিয়ে তা ব্যবহার করুন।
১০ থেকে ১২মিনিট পর ত্বকে কিছুটা টান টান অনুভব হলে পরিস্কার পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন এটি ব্যবহার করুন। লেবু বেশি ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং এই ফেসপ্যাক লাগিয়ে সূর্যের আলোতে যাবেন না।
শুষ্ক ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির ফেইসপ্যাক উপাদান
মুলতানি মাটি ২ চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল /মধু ২ চা চামচ
নিমের গুড়া ১ চা চামচ
বানানোর প্রক্রিয়া এবং ব্যবহার
একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ চা চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে তাতে অ্যালোভেরা জেল ২ চা চামচ এবং নিমের গুড়া ১ চা চামচ যোগ করুন।প্রয়োজন হলে একটু পানি না গোলাপ জল মিক্স করুন।
মিশ্রনটি ভালো ভাবে নেড়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আপনার পরিষ্কার ত্বকে এটি ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রেখে সাধারণ পানি দিয়ে কিছুটা ম্যাসাজ করুন হালকা ভাবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এবং মশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ট্যানিং দূর করতে মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
উপাদান
মুলতানি মাটি ১-২ চা চামচ
টক দই ১ চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল ১ চা চামচ
বানানোর প্রক্রিয়া এবং ব্যবহার
একটি পরিষ্কার পাত্রে ১ চা চামচ টক দই নিয়ে, তাতে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি এবং ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিক্স করুন এবং আপনার পরিষ্কার ত্বকে এটি ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রেখে হালকা পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
এটি আপনার ত্বকে বহুদিন ধরে পরে থাকা ট্যানিং দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ১ দিন এটি ব্যবহার করুন।
মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহার এর নিয়ম
মুলতানি মাটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। তাই ফেসওয়াস এর বদলে ও এটি ব্যবহার করা যায়।
একটি পাত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি মিশিয়ে কিছুটা কাদার মতো হালকা ঘন একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি ব্রাশ এর সাহায্যে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন। একটু শুকিয়ে গেলে আপনার হালকা টান টান অনুভব হতে পারে। তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন।
এছাড়াও ফেসপ্যাক হিসেবে মুলতানি মাটি ব্যবহার এর পূর্বে আপনি চাইলে ফেসওয়াস দিয়ে একবার মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি পুরো দিন বাসায় ছিলেন বা তেমন ধুলো বালির সংস্পর্শে যান নি তাহলে শুধু সাধারণ পানি দিয়ে ভালো ভাবে মুখ ধুয়ে তারপর চাইলে ফেইসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
এই ফেইসপ্যাক লাগিয়ে সূর্যের আলোতে তেমন যাবেন না। চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব রুমে থাকতে। আপনি দিনে বা রাতে যেকোনো সময় এই মাটি ব্যবহার করতে পারবেন।
শুষ্ক ত্বকের অধিকারী যারা সপ্তাহে দু’দিন মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এবং সেই ফেসপ্যাকে মধু কিংবা অ্যালোভেরা জেল অথবা ফেসিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ফেসপ্যাকটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বকে না রেখে ১০ মিনিটের মতো ত্বকে রাখার পর তা পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলবেন। আপনার পছন্দের মশ্চারাইজার টি ব্যবহার করে নিবেন।
যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুলতানি মাটির ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘদিন মুলতানি মাটির ব্যবহার করার ফলে আপনি
যদি দেখেন আপনার ত্বক থেকে তৈলাক্তভাব অনেকটাই কমে গেছে, সে ক্ষেত্রে আপনি শুধু মুলতানি মাটির ব্যবহার না করে মুলতানি মাটির সাথে মধু, গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে ভালো উপকার লাভ করবেন।
মুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহার এর সময় কথা বলবেন না এতে ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে।
মুলতানি মাটির অপকারিতা
মুলতানি মাটির বিশেষ কোনো অপকারিতা না থাকলেও এটি ব্যবহার এর সঠিক নিয়ম না জানার কারণে মানুষ ত্বকের নানা ক্ষতি সাধন করে ফেলেন। প্রতিটি ত্বক যেমন ভিন্ন তাই এর ব্যবহার বিধি ও প্রতিটি ত্বকের জন্যই ভিন্ন। যাদের অত্যন্ত শুষ্ক ত্বক তারা প্রতিদিন মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরো শুষ্ক করে দিবে এবং ব্রণ এর উপদ্রব ও বাড়াতে পারে। তাই সপ্তাহে দুই দিন এই মাটি ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
প্রতিটি প্রাকৃতিক উপাদানই কিছু না কিছু গুনাগুন দিয়ে ভরপুর হয়ে আছে। এর সঠিক এবং নিয়মিত ব্যবহার আপনার জন্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে নানান উপকারিতা।
মাথায় মুলতানি মাটি দিলে কি হয়
রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে
বরং চুলের যত্নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। যেমন ড্রাই হেয়ারের সমস্যা দূর করতে মুলতানি মাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে হাফ কাপ দই এবং অর্ধেক লেবু থেকে সংগ্রহ করা রস মিশিয়ে একটি হেয়ারপ্যাক বানিয়ে নিতে হবে।
হেয়ার ফল কমাতে
মাত্রাতিরিক্ত হারে চুল পড়ার কারণে বেশ চিন্তায় থাকেন অনেকেই। দেরি না করে ২ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ গোলমরিচ এবং ২ চামচ দই অথবা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেই হেয়ারপ্যাকটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ফেলুন।
তারপর ৩০ মিনিট হয়ে গেলে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি নিয়মিত কাজে লাগালে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তে প্রবাহ বাড়তে শুরু করে।
মুলতানি মাটি লাগানোর পর কিভাবে অপসারণ করব
একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে পর্যাপ্ত গোলাপ জল এবং লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি একত্রিত করুন। এটি মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন । সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, প্রতি কয়েক দিনে একবার প্যাকটি ব্যবহার করুন।
মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
মুলতানি মাটি, শশা, গোলাপ জলের প্যাক
শশা খোসা ছাড়িয়ে রস বার করে নিন। এর সঙ্গে দুই চা চামচ মুলতানি মাটি ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে মুখ ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যকটি ব্যবহার করলে ত্বকের ট্যান দূর হয়, জেল্লাও বাড়ে।
মুলতানি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন হলুদ
মুলতানি মাটি যে কোনও ত্বকেই ব্যবহার করা যায়। অন্তত এমনটাই বলেন অনেক বিশেষজ্ঞ। শুধু আপনি মুলতানি মাটির সঙ্গে কোন উপাদান মেশাচ্ছেন, তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
টক দই ও হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে মুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। টক দই ত্বকে লাগালে ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে আসে। আর হলুদে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্য়ামেটরি উপাদান।
কীভাবে ব্যবহার করবেন: একটি পাত্র নিন। তাতে এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিন। এক টেবিল চামচ টক দই নিন। এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। একটি ঘন পেস্ট তৈরি হবে। তবে খুব ঘন বা পাতলা মিশ্রণ তৈরি করবেন না।
এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। মুখে শুকনো হওয়া না পর্যন্ত অপেক্ষা করার ভুলটা করবেন না। তাতে ত্বকের বারোটা বাজতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
ক্লে মাস্কে এই ধরনের ভুল আপনার ত্বকের বড় ক্ষতি করতে পারে। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ১-২বার ব্যবহার করুন। বেশি ব্যবহার করবেন না।