মরিঙ্গা পাউডারের উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাবার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার বা সজিনা পাতা গুঁড়া অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ থাকায় সজিনা গাছকে “মিরাকেল ট্রি” এবং এর পাতাকে বলা হয় সুপার ফুড।
মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণ
এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন বি 9, ভিটামিন এ সহ দেহের জন্য উপকারী অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায় এই জাদুকরী গুণসম্পন্ন ভেষজে।
সজিনা গাছের পাতাকে বিশেষ মেশিনে কুচি করে কেটে তৈরি করা হয় সজিনা পাতা গুঁড়া। এই পাতার গুঁড়া এমনি পানিতে মিশিয়ে বা চায়ের মতন ফুটিয়ে নিয়েও গ্রহণ করা যায়।
এর গুঁড়ার সাথে একটুখানি খাঁটি মধু আর লেবুর সংমিশ্রণে চমৎকার পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করা সম্ভব যা আপনাকে রাখবে সজীব ও প্রাণবন্ত।
মরিঙ্গা পাতার গুঁড়োর রয়েছে বিশেষ গুণাগুণ। জেনে অবাক হবেন যে, মরিঙ্গার পাতায় রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলার থেকে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে,
দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। এই মরিঙ্গা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে শরীরের শ্রমজনিত ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা থাকলে তা সহজেই দূর হয়।
মরিঙ্গা পাতার এরকম অসাধারণ ভেজষ গুণের কারনে এটি বিদেশি যে কোনও সুপারফুডকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে। সজনে গাছের সব কটা অংশে নানা খাদ্যগুণ থাকলেও পাতার প্রায় নব্বই শতাংশ নানা খাদ্যগুণে ভরপুর।
মনে করা হয় যে এই পাতার আরও অনেক গুণাগুণ এখনও অজানাই রয়ে গেছে। মানুষের শরীরে আটটি অতিপ্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার। মরিঙ্গাতে এই আটটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রকৃতিতে খুব কম সংখ্যক গাছেই এই সকল অ্যাসিড একত্রে থাকে।
১ চামচ (প্রায় ৮ গ্রাম) মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণ
এখানে ১ চামচ (প্রায় ৮ গ্রাম) মরিঙ্গা গুঁড়োয় উপস্থিত পুষ্টি উপাদান এবং আনুমানিকভাবে আমাদের দৈনিক চাহিদার কত শতাংশ পূরণ করে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো:
পুষ্টি উপাদান | ১ চামচ মরিঙ্গা গুঁড়োর পরিমাণ | দৈনিক চাহিদার শতাংশ (প্রায়) |
---|---|---|
ক্যালোরি | ৩০ | ১.৫% |
প্রোটিন | ২ গ্রাম | ৪% |
চর্বি | ১ গ্রামের কম | ১.৫% |
ফাইবার | ২ গ্রাম | ৮% |
ভিটামিন A | ১৮৯ আইইউ | ৩৭.৮% (প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা) বা ২৭% (প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ) |
ভিটামিন K | ৫৫ মিক্রোগ্রাম | ৬৮.৭৫% |
ভিটামিন C | ১৫ মিলিগ্রাম | ২০% |
ভিটামিন B6 | ০.২ মিলিগ্রাম | ১১.৭৬% |
ক্যালসিয়াম | ১৫৫ মিলিগ্রাম | ১৫.৫০% |
আয়রন | ৪ মিলিগ্রাম | ২২.২২% (প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ) বা ৫০% (প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা) |
ম্যাগনেসিয়াম | ৬০ মিলিগ্রাম | ১৫% |
ফসফরাস | ৮৪ মিলিগ্রাম | ১২% |
পটাশিয়াম | ২৬১ মিলিগ্রাম | ৫.৫% |
লক্ষণীয়:
- পুষ্টির পরিমাণ ব্র্যান্ড এবং প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
- ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, এবং শারীরিক কর্মতৎপরতার উপর ভিত্তি করে দৈনিক চাহিদার হিসেব আলাদা হতে পারে।
- মরিঙ্গার পাতায় আরো অন্যান্য মূল্যবান পুষ্টি উপাদান যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যৌগজ পদার্থ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
মরিঙ্গা পাউডার উপকারিতা
মরিঙ্গা কাজ করার শক্তি বাড়ায়, নানা রোগ ঠিক করতে ও রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করে সেই সাথে মন এবং মেজাজ ভালো রাখে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নেই তিনশত রোগের সমাধান মরিঙ্গার কিছু উপকারিতা ….
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মরিঙ্গা শরীরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারি ধাতু অপসারণ করে দেয়। ক্যান্সার রোগীদের শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে।
শরীরের ব্যথা উপশমে
শরীরের কোনো স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে মরিঙ্গার শিকড়ের প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা সেরে যায়।
কান ব্যথা উপশম করে
মরিঙ্গার শিকড়ের রস কানের ব্যথার সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ফল দেয়।
মাথা ব্যথা দূর করে
মরিঙ্গার আঠা দুধের সাথে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। আঠা কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা সেরে যায়।
ফোঁড়া উপশম করে
মরিঙ্গার আঠার প্রলেপ দিলে ফোঁড়া সেরে যায়।
হাঁপানি ও মূত্রপাথরি উপশম করে
মরিঙ্গা ফুলের রস হাঁপানি রোগে বিশেষ উপকারী। মরিঙ্গা ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রপাথরি দূর হয়।
গ্যাস হওয়া থেকে রক্ষা করে
বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর করতে মরিঙ্গা একটি ভাল সমাধান। পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে গ্যাস দূর হয়ে যায়।
কুকুরের কামড়ে কার্যকরী
মরিঙ্গার পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়।
জ্বর ও সর্দি উপশম করে
মরিঙ্গার পাতাকে শাকের মত রান্না করে খেলে যন্ত্রণাধায়ক জ্বর এবং সর্দি দূর হয়।
বহুমূত্র রোগে কার্যকরী
মরিঙ্গা পাতার রস বহুমূত্র রোগে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
কোষ্ঠকাঠিন্য ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
মরিঙ্গার ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
হজম সমস্যা সমাধান করে
মরিঙ্গা ফুল দুধের সাথে রান্না করে নিয়মিত খেলে হজমশক্তি ও কামশক্তির বৃদ্ধি ঘটে।
গেঁটে-বাত সমস্যা সমাধান করে
মরিঙ্গার ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেঁটে বাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
ক্রিমিনাশক ও টিটেনাস রোগে বিশেষ কার্যকরী
মরিঙ্গার কচি ফল ক্রিমিনাশক, লিভার ও প্লীহাদোষ নিবারক, প্যারালাইসিস ও টিটেনাস রোগে হিতকর।
অবশতা, সায়াটিকা দূর করে
মরিঙ্গার বীজের তেল মালিশ করলে বিভিন্ন বাত বেদনা, অবসতা, সায়াটিকা, বোধহীনতা ও চর্মরোগ দূর হয়।
হৃদরোগ সমস্যা সমাধানে
হৃদরোগ সমস্যায় মরিঙ্গা খুবই কার্যকর। পাতার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়।
পোকা-মাকড়ের কামড়ে বিশেষ কার্যকরী
পোকার কামড়ে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে মরিঙ্গার রস ব্যবহার করা হয়।
শরীরে ক্ষতস্থান সারায়
ক্ষতস্থান সারার জন্য মরিঙ্গা পাতার পেস্ট উপকারী।
হাঁড়ের সমস্যার সমাধান করে
শরীরের কোন অঙ্গ মচকালে বা থেতলালে আদা ও মরিঙ্গার ছাল বাটা প্রলেপ বানিয়ে দিলে ব্যাথা উপশম হয়।
ইন্টেস্টাইন ও প্রোস্টেট সংক্রমণ রোধ করে
মরিঙ্গা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুলপড়া বন্ধ করে
চুলপড়া রোগের চিকিৎসায় ও মরিঙ্গা কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কৃমি সমস্যার সমাধান করে
কৃমিনাশক হিসাবেও মরিঙ্গার ব্যবহার অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মূল ও ছালের রস নিয়মিত ৩/৪ দিন খেলে শরীর কৃমি মুক্ত হয়ে যায়।
রক্ত সংবহণতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়
মরিঙ্গা রক্ত সংবহণতন্ত্রের ক্ষমতাও বাড়ায়। মরিঙ্গার কচি পাতার রস নিয়মিত ব্যবধানে খেলে রক্তের উচ্চচাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে য়ায়।
মায়ানমারের চিকিৎসকদের মতে, মরিঙ্গার পাকা পাতার টাটকা রস দুবেলা আহারের ঠিক আগে এক বা দুই চামচ করে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে রক্তের উচ্চচাপ কমে যাবে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এটি ব্যবহার করবেননা।
বসন্ত রোগ প্রতিরোধ করে
নিয়মিত মরিঙ্গার ডাঁটা ও ফুল ভাজী বা তরকারী করে খেলে জল ও গুটি এ দু’ধরনের বসন্তে আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা থাকেনা।
ব্ল্যাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখে
খাবার লবন অর্থাৎ ‘সোডিয়াম ক্লোরাইড’ ব্ল্যাড প্রেসার রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অপরদিকে, ‘পটাশিয়াম লবন’ কোন ক্ষতি করেনা। মরিঙ্গার ডাঁটাতে সোডিয়াম ক্লোরাইড নেই বললেই চলে। কাজেই এতে ব্ল্যাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
শরীরে রক্তের পরিমান কমে গেলে পানি দিয়ে মরিঙ্গার ডাঁটা সেদ্ধ করে তার ক্বাথ এবং ডাঁটা চিবিয়ে খেলে রক্তল্পতা দূর হয়। তবে বেশ কিছুদিন নিয়মিত খাওয়া দরকার।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
আপনি চায়ের সঙ্গে মরিঙ্গার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া ক্যাপসুল আকারেও মরিঙ্গা খেতে পারেন। একটি কাপের মধ্যে মরিঙ্গা নিন এবং তাতে এক থেকে দু’কাপ জল ফুটিয়ে নিন। আপনি মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে ঐ জলটা খেতে পারেন।
মরিঙ্গা ব্যবহার করা সহজ হতে পারে না – শুধুমাত্র 1-2 চা চামচ বা যদি আপনি শুরু করছেন তবে আধা চা চামচ যে কোনও থালা বা পানীয়তে মেশান যা পালং শাক ছিটিয়ে লাভবান হতে পারে।
এটিকে সুপারফুড সিজনিং হিসাবে ভাবার সবচেয়ে সহজ উপায় – তাই এটিকে আপনি অন্য কোনও সবুজ ভেষজ বা মশলা হিসাবে ব্যবহার করুন।
খাওয়ার পর মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবে কি
হ্যাঁ, আপনি খাবারের পর মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন । আসলে, খাবারের পরে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া আপনার খাবারের পুষ্টিগত সুবিধাগুলিকে বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়, কারণ মরিঙ্গা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।
মরিঙ্গা পাউডার তৈরি
মরিঙ্গা পাউডার কীভাবে তৈরি করা হয় তার বিস্তারিত বিবরণ এখানে দেওয়া হলো:
পাতা সংগ্রহ
মরিঙ্গা বা সজনে গাছ থেকে পাতা সাবধানে সংগ্রহ করা হয়। আদর্শভাবে, অল্প বয়স্ক পাতাগুলি বেছে নেওয়া হয় কারণ তাদের একটি হালকা স্বাদ থাকে।
পরিষ্কার করা
কাটা পাতাগুলি যে কোনও ময়লা, ধ্বংসাবশেষ বা দূষক অপসারণের জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এই ধাপটি চূড়ান্ত পণ্যের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে।
শুকানো
পরিষ্কার করা পাতাগুলি একটি একক স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং কম তাপমাত্রায় শুকানো হয়। পাতার সূক্ষ্ম পুষ্টি সংরক্ষণের জন্য এই শুকানোর প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোদে শুকানো বা বায়ু শুকানো সাধারণ পদ্ধতি।
মিলিং/গ্রাইন্ডিং
একবার সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে পাতাগুলিকে একটি গুঁড়োতে সূক্ষ্মভাবে গুড়া করে নেওয়া হয়। এটি বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে করা যেতে পারে, যেমন গ্রাইন্ডার বা মিলিং মেশিন। লক্ষ্য একটি মসৃণ, সূক্ষ্ম পাউডার তৈরি করা।
ছেঁকে নেওয়া
কিছু নির্মাতারা অবশিষ্ট মোটা কণা অপসারণের জন্য পাউডারটি চালনি বেছে নেয়। যার ফলে একটি সূক্ষ্ম এবং আরও অভিন্ন পণ্য হয়।
প্যাকেজিং
চূড়ান্ত মরিঙ্গা পাউডারটি আর্দ্রতা, আলো এবং বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য বায়ুরোধী পাত্রে সাবধানে প্যাকেজ করা হয়, যা এর গুণমানকে হ্রাস করতে পারে। সঠিক প্যাকেজিং পাউডারের সতেজতা এবং পুষ্টির মান বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিছু ব্যক্তির মধ্যে অত্যধিক মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার ফলে হজমের অস্বস্তি হতে পারে। যেমন- ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথা। অল্প পরিমাণে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার সহনশীলতা পরিমাপ করার জন্য আপনার গ্রহণ বাড়ান।
মরিঙ্গা পাউডার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মরিঙ্গা পাউডার কিছু ওষুধের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যেমন- রক্ত পাতলাকারী, ডায়াবেটিসের ওষুধ এবং রক্তচাপ কমানোর ওষুধ।
আপনি যদি কোনো প্রেসক্রিপশন ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার খাদ্যে মরিঙ্গা পাউডার যোগ করার আগে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।
কিছু লোকের মরিঙ্গা পাউডার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। আপনি যদি মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার পর চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে ব্যবহার বন্ধ করুন এবং চিকিৎসার পরামর্শ নিন।
গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের মোরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এর নিরাপত্তার বিষয়ে সীমিত গবেষণা রয়েছে। তাই একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়।
মরিঙ্গা পাউডারের অত্যধিক ব্যবহার নির্দিষ্ট পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- মরিঙ্গাতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম এবং আয়রন অন্যান্য খনিজগুলির শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। সামগ্রিক পুষ্টি গ্রহণের বিষয়ে সচেতন হন।
মরিঙ্গা পাউডারের গুণমান ব্র্যান্ড এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। দূষিত বা ভেজালের ঝুঁকি কমাতে আপনি একটি সম্মানিত উৎস থেকে ক্রয় করেছেন তা নিশ্চিত করুন।