লিভার বড় হলে কি করতে হবে
লিভার আমাদের শরীরের একটি প্রধান অঙ্গ। এর কাজের মধ্যে রয়েছে রক্ত শোধন, পুষ্টি শোষণ, শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা।
কিছু কিছু কারণে লিভার বড় হয়ে যেতে পারে। লিভার বড় হয়ে যাওয়াকে হেপাটোমেগালি বলে। হেপাটোমেগালি নিজে একটি রোগ নয়, কিন্তু লিভার বড় হয়ে যাওয়া অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ বা ইঙ্গিত হতে পারে।
লিভার বড় হওয়ার কারণ
লিভার বড় হওয়া, যাকে চিকিৎসা ভাষায় হেপাটোমেগালি (hepatomegaly) বলা হয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ
- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ: দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে পারে, যার ফলে লিভার বড় হয়ে যায়।
- নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ: স্থূলতা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, ইত্যাদি
হেপাটাইটিস
- হেপাটাইটিস A: এই ভাইরাসটি দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায় এবং লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
- হেপাটাইটিস B: এই ভাইরাসটি রক্ত এবং যৌন তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এবং লিভারে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ
- হেপাটাইটিস C: এই ভাইরাসটি রক্ত এবং যৌন তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এবং লিভারে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ
হার্টের অসুখ
- কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর: হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং করার ক্ষমতা কমে গেলে লিভারে রক্ত জমা হতে পারে, I
- পোর্টাল হাইপারটেনশন: লিভারের রক্তনালীতে উচ্চ রক্তচাপ I
ক্যান্সার
- লিভার ক্যান্সার: লিভারের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি I
- অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সার: লিভারে ছড়িয়ে পড়লে I
জিনগত রোগ
- উইলসন’স ডিজিজ: শরীরে তামা জমা হওয়ার I
- হেমোক্রোমাটোসিস: শরীরে আয়রন জমা হওয়ার I
অন্যান্য কারণ
- লিভারের সিস্ট: লিভারে তরল পদার্থে ভরা থলি I
- লিভারের টিউমার
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
রোগ নির্ণয়
- শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার পেট পরীক্ষা করে লিভার বড় হয়েছে কিনা তা অনুভবকরতে পারেন।
- রক্ত পরীক্ষা: লিভারের কার্যকারিতা I
- আল্ট্রাসাউন্ড:
- লিভারের বায়োপসি:
প্রতিরোধ
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
- হেপাটাইটিস A এবং B-এর বিরুদ্ধে টিকা নিন।
- সুরক্ষিত যৌনতা অনুশীলন করুন। হেপাটাইটিস B এবং C রক্ত এবং যৌন তরলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
- ডাক্তারের নির্দেশমতো ওষুধ সেবন করুন। কিছু ওষুধ লিভারের কার্যকারিতায় বাধা দিতে পারে।
লিভার বড় হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়
সচরাচর লিভার বড় হলে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:
পেটের লক্ষণ
- পেটে ব্যথা I
- পেটে ভারী ভারী ভাব I
- পেট ফুলে যাওয়া I
- পেটে পানি জমা (অ্যাসাইটস) I
সাধারণ লক্ষণ
- অল্পতেই ক্লান্তি I
- ক্ষুধামন্দা I
- বমি বমি ভাব I
- ওজন কমে যাওয়া I
- দুর্বলতা I
- জ্বর I
ত্বক ও চোখের লক্ষণ
- ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস) I
- ত্বকে চুলকানি I
অন্যান্য লক্ষণ
- প্রস্রাবে হলুদ রঙ I
- মলের রঙ ফ্যাকাশে হওয়া I
- হাত-পায়ে ফোলা I
- রক্তক্ষরণ I
কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন
আপনার যদি লিভার বড় হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
রোগ নির্ণয়
- শারীরিক পরীক্ষা I
- রক্ত পরীক্ষা I
- আল্ট্রাসাউন্ড I
- CT স্ক্যান I
- MRI I
- লিভার বায়োপসি I
চিকিৎসা
চিকিৎসা মূল কারণের উপর নির্ভর করে।
- ফ্যাটি লিভার রোগ: স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, অ্যালকোহল পরিহার I
- হেপাটাইটিস: ভাইরাস-বিরোধী ওষুধ I
- হার্টের অসুখ: হার্টের সমস্যার চিকিৎসা I
- ক্যান্সার: কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, সার্জারি, এমনকি লিভার প্রতিস্থাপন করা লাগতে পারে I
প্রতিরোধ
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
- হেপাটাইটিস A এবং B-এর বিরুদ্ধে টিকা নিন।
- সুরক্ষিত যৌনতা অনুশীলন করুন: হেপাটাইটিস B এবং C রক্ত এবং যৌন তরলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
- ডাক্তারের নির্দেশমতো ওষুধ সেবন করুন: কিছু ওষুধ লিভারের কার্যকারিতায় বাধা দিতে পারে।
- ভেষজ ঔষধ ও সম্পূরক সম্পর্কে সতর্ক থাকুন: কারণ কিছু ভেষজ ও ঔষধ লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক : লিভার বড় হওয়ার লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা ঠিক নয়। আপনার যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনোটি দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। লিভারের সমস্যাগুলি যত তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা হয়, তত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
লিভার বড় হলে কী করতে হবে
ডাক্তারের পরামর্শ নিন
- লিভার বড় হওয়ার মূল কারণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- কোনো কারণে আপনার মনে হলে যে আপনার লিভার বড় হয়েছে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডাক্তার কী কী করবেন
শারীরিক পরীক্ষা
- ডাক্তার বিভিন্নভাবে আপনার শরীর পরীক্ষা করবেন।
- পেটের উপর হাত দিয়ে লিভারের আকার ও স্পর্শকাতরতা অনুভব করবেন।
- পেটে পানি আছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন।
- প্লীহা বড় হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন।
রক্ত পরীক্ষা
- লিভারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা করতে দেবেন।
- এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার অনুমান করতে পারবেন যে আপনার লিভার কতটা সুস্থ বা আক্রান্ত।
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা হল:
- লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT): এএসটি (AST), এএলটি (ALT), অ্যালকালিন ফসফেটেজ (ALP), গামা-জিটি (GGT), bilirubin, albumin I
- হেপাটাইটিস B এবং C ভাইরাসের পরীক্ষা I
- রক্তে শর্করার পরিমাণ (FBS) I
- রক্তে চর্বির পরিমাণ (lipid profile) I
ইমেজিং টেস্ট
- লিভারের আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান অথবা এমআরআই করতে দিতে পারেন ডাক্তার।
- এগুলোর মাধ্যমে লিভারের ছবি দেখে ডাক্তার এর অবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- লিভারে কোনো টিউমার, টিস্যু ব্লকেজ, বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা দেখা যাবে।
লিভার বায়োপ্সি
- লিভারের একটি অংশ নিয়ে পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার লিভার বায়োপ্সির পরামর্শ দিতে পারেন।
- এই পরীক্ষা থেকে অনেকসময় লিভারে কী ধরণের সমস্যা হয়েছে তা নির্ণয় করা যায়।
- এছাড়া ক্যান্সারের নিশ্চিত রোগনির্ণয় করতেও এটা করা হয়।
চিকিৎসা
- লিভার বড় হওয়ার কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে, ঔষধের মাধ্যমে লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করা যায়।
- লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, বা রেডিয়েশন থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।
জীবনধারা পরিবর্তন
- লিভারের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার লিভারের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক
- তাড়াতাড়ি চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ: লিভার বড় হওয়া অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাড়াতাড়ি নির্ণয় এবং চিকিৎসা জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী লিভার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনতে পারে।
- নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন: আপনার ডাক্তারের চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং জীবনযাত্রার পরামর্শ মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করুন।
- নিয়মিত ফলোআপ: আপনার রোগের অগ্রগতি নিরীক্ষণের জন্য নিয়মিত আপনার ডাক্তারকে দেখান।
লিভার বড় হওয়ার চিকিৎসা
লিভার বড় হওয়ার (হেপাটোমেগালি) চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে এর মূল কারণের উপর নির্ভর করে।
ফ্যাটি লিভার ডিজিস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- প্রচুর শাকসবজি, ফল, এবং পূর্ণ শস্য খাওয়া।
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
ওজন কমানো (যদি ওজন বেশি হয়)
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- সুষম খাদ্যগ্রহণ করা।
অ্যালকোহল ত্যাগ করা
অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতি করে এবং ফ্যাটি লিভার ডিজিজের অবনতি ঘটাতে পারে।
হেপাটাইটিস ভাইরাস
ওষুধ
- হেপাটাইটিস B এবং C-এর জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আছে।
- নিয়মিত ওষুধ সেবন ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং লিভারের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার কিমোথেরাপি
ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
সার্জারি
টিউমার অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
রশ্মিচিকিৎসা
ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ
আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগে থাকুন এবং চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন।
ওষুধের নিয়মিত সেবন
ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।
জীবনধারা পরিবর্তন
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার লিভারের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা
- লিভার বড় হওয়ার লক্ষণ উপেক্ষা করা উচিত নয়।
- দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা লিভারের স্থায়ী ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
লিভার ট্রান্সপ্লান্ট
কিছু ক্ষেত্রে, যখন লিভারের ক্ষতি অত্যধিক হয়, তখন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হতে পারে।
লিভারের কার্যকারিতা পরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, এবং অন্যান্য ইমেজিং পরীক্ষা লিভারের স্বাস্থ্যের নিয়মিত মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিরোধ
লিভার বড় হওয়া প্রতিরোধের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: फलমূল, শাক-সবজি, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও সম্পূর্ণ শস্য খান। চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত চর্বি ইত্যাদি পরিহার করুন।
- সুস্থ ওজন বজায় রাখা: জানা দরকার কত ওজন হলে তা স্বাস্থ্যকর, সেইভাবে ওজন বজায় রাখতে চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন, প্রতিদিন অর্ধেক ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে মাঝারি বা উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
- মদ্যপান পরিহার করুন: অ্যালকোহল লিভারকে আক্রমণ করে। তাই মদ্যপান পরিহার করা খুব জরুরী।
- হেপাটাইটিস থেকে সতর্ক থাকুন: হেপাটাইটিস A ও B এর টিকা নিতে পারেন। সুরক্ষিত যৌনতায় সতর্ক থাকুন কারণ হেপাটাইটিস B ও C রক্ত এবং যৌন তরল দ্বারা ছড়াতে পারে।
- জন্ডিস হলে অবহেলা করবেন না: হলুদ চোখ বা ত্বক দেখা দিলে তা অবহেলা করবেন না।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফলমূল, শাক-সবজি, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও সম্পূর্ণ শস্য খান। চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত চর্বি ইত্যাদি পরিহার করুন।
- সুস্থ ওজন বজায় রাখা: জানা দরকার কত ওজন হলে তা স্বাস্থ্যকর, সেইভাবে ওজন বজায় রাখতে চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন, প্রতিদিন অর্ধেক ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে মাঝারি বা উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
- মদ্যপান পরিহার করুন: অ্যালকোহল লিভারকে আক্রমণ করে। তাই মদ্যপান পরিহার করা খুব জরুরী।
- হেপাটাইটিস থেকে সতর্ক থাকুন: হেপাটাইটিস A ও B এর টিকা নিতে পারেন। সুরক্ষিত যৌনতায় সতর্ক থাকুন কারণ হেপাটাইটিস B ও C রক্ত এবং যৌন তরল দ্বারা ছড়াতে পারে।
- জন্ডিস হলে অবহেলা করবেন না: হলুদ চোখ বা ত্বক দেখা দিলে তা অবহেলা করবেন না।
উপসংহার
লিভার বড় হওয়া বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার লিভার বড় হয়েছে, তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। লিভারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[অস্বীকৃতি] এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে এবং এটি চিকিৎসার পরামর্শের বিকল্প নয়। কোনো নতুন খাদ্য বা সম্পূরক শুরু করার আগে সর্বদা একজন যোগ্যতাসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।