কাগজি লেবুর উপকারিতা, অপকারিতা এবং ব্যবহার
লেবু নামটা এসেছে সংস্কৃত নিম্বু থেকে। নিম্বু থেকে নিমু পরিশেষে হয়েছে লেবু। লেবু নামটা যত সহজ, ফলটা তত সহজ নয়। এদেশে সিলেটেই আছে প্রায় আশি রকমের লেবু।
এক এক লেবুর আকার-আকৃতি ও স্বাদ ভিন্ন রকম- কোনটা ভীষণ টক, কোনটা আবার ভীষণ মিষ্টি। সাধারণভাবে টকজাতীয় বা সাইট্রাসজাতীয় ফল বলা হয় লেবুকে। সব লেবু টক নয়।
সুইট অরেঞ্জ, মাল্টা, কমলা, চাইনীজ কমলা-এসব মিষ্টি স্বাদের লেবু। অন্যদিকে কালামুন্সি, কাগজি, এলাচীলেবু- এসব টক স্বাদের।
বাতাবি লেবু টক-মিষ্টি। ঘ্রাণের দিক দিয়েও এক লেবুর ঘ্রাণ এক এক রকম। লেবুতে উপস্থিত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের কারণেই লেবুর এত ভিন্নতা। কাজেই ভেষজ গুণ যে সব লেবুর একই রকম সেটা ভাবার কোন কারণ নেই।
পাতে অর্থাৎ ভাতে মুততে সব লেবু পারে না। কাগজিলেবুর আর এক নাম পাতিলেবু- পাতিলেবুকেই মনে হয় কালিদাস বলেছেন পেতি। পাতে মুতায় কাগজিলেবুর অধিকার অগ্রগণ্য। এখানে তাই কাগজি লেবুকে আমিও অগ্রাধিকার দিলাম আলোচনায়।
শুধু আমি কেন, এই করোনাকালে সবাই এখন লেবুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। নানাভাবে লেবু খাওয়ার অভ্যাস করছেন। এক্ষেত্রেও স্বাদে-গন্ধে-উপকারে কাগজিলেবু সেরা।
কাগজি লেবুর পুষ্টিগুণ
কাগজি লেবুতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকলেও, এটি থেকে আমাদের দৈনিক চাহিদার উল্লেখযোগ্য শতাংশ পূরণ করা সম্ভব নয়। তবুও, আসুন দেখে নেই কাগজি লেবুর একটি সাধারণ পুষ্টি প্রোফাইল এবং সেটি দৈনিক চাহিদার সাথে কিছুটা হলেও কীভাবে যুক্ত হয়:
১০০ গ্রাম কাগজি লেবুর পুষ্টি উপাদন এবং দৈনিক চাহিদার শতাংশ
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ | দৈনিক চাহিদার শতাংশ* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ২৯ | ১.৪৫% |
প্রোটিন | ১.১ গ্রাম | ২.২০% |
চর্বি | ০.৩ গ্রাম | ০.৪৬% |
ফাইবার | ২.৮ গ্রাম | ১১.২০% |
ভিটামিন C | ৫৩ মিলিগ্রাম | ৭০.৬৬% |
ক্যালসিয়াম | ২৬ মিলিগ্রাম | ২.৬০% |
আয়রন | ০.৬ মিলিগ্রাম | ৩.৩৩% |
পটাশিয়াম | ১৩৮ মিলিগ্রাম | ২.৯২% |
*২০০০ ক্যালোরির ডায়েট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের গড় চাহিদার উপর ভিত্তি করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
- ভিটামিন C এর উৎস: কাগজি লেবু প্রধানত ভিটামিন C এর একটি অন্যতম উৎস এবং দৈনিক চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করতে পারে।
- অন্যান্য পুষ্টি: কাগজি লেবুতে অল্প পরিমাণে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি থাকে। যা হার্টের জন্য উপকারী ।
- হাইড্রেশন: কাগজি লেবুর রস শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
- সামগ্রিকভাবে একটি সুষম ডায়েট: কোনও একটি খাবারই আমাদের সব পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে না। একটি সুষম ডায়েটে বিভিন্ন ধরণের ফল, শাকসবজি, প্রোটিন, শস্যদানা অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
কাগজি লেবুর উপকারিতা
কাগজিলেবু বয়স ধরে রাখতে বা দেহের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা বিপুল পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট এ দায়িত্ব পালন করে। নিচে কাগজিলেবুর ভেষজ গুণ ও ব্যবহার সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
অরুচি ও পেটফাঁপা
কাগজিলেবুর লোকায়ত এ ব্যবহারের কথা জানেন না এমন লোক বোধ হয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কোন কিছু দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে করছে না, খাওয়ায় কোন রুচি নেই। এ অবস্থা হলে খাওয়ার পরেও তা হজম হবে না, পেট ফাঁপবে।
তাই অরুচি নিয়ে কোন কিছু না খাওয়া ভাল। অরুচি হলে সেই খাবারে সাথে কাগজিলেবুর রস চিপে মিশিয়ে খেলে দ্রæত খাবারে রুচি ফিরে আসে ও তা হজম হয়।
অরুচি হলে একটা লেবুকে দুভাগ করে অর্ধেক সকালে ১ কাপ পানির সাথে ও বিকেলে বাকি অর্ধেক আর ১ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে একইভাবে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহখানেক এভাবে লেবু-পানি খাওয়ার পর অরুচি চলে যাবে।
ক্লান্তিবোধ
খেলাধুলা বা অধিক পরিশ্রমের পর শরীরটা এলিয়ে আসে, ক্লান্তি জড়িয়ে ধরে। একটানা কোন কাজ করলেও ক্লান্তিভাব চলে আসে। এ অবস্থায় পানিতে একটা কাগজিলেবু চিপে তার রস সামান্য লবণ মিশিয়ে শরবত করে খেলে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
এর সাথে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে আরও ভালো কাজ হয়।
মেদবৃদ্ধি, কোষ্ঠবদ্ধতা ও গিঁটবাত
ফার্স্ট ফুড আর জাংক ফুডের জামানায় মেদবৃদ্ধি ও স্থ’ূলতা সারা বিশ্বব্যাপী এক সাধারণ সমস্যা। সে সাথে কোষ্ঠবদ্ধতা ও গিঁটবাত বড় সমস্যা। তাই মেদ বৃদ্ধি, সাময়িক কোষ্ঠবদ্ধতা ও গিঁটবাত ঠেকাতে রোজ যেমন আমরা দাঁত ব্রাশ করি, তেমনই লেবু-জল খাওয়াকে একটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
রোজ সিকি টুকরো কাগজিলেবু অন্য লেবু হলেও চলবে চিপে রস করে তা ১ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে রোজ সকালে ও সন্ধ্যায় খেতে হবে। এটা সারা জীবন চালিয়ে যেতে হবে।
তাহলে মেদবৃদ্ধি, কোষ্ঠবদ্ধতা অনেকটা ঠেকে যাবে এবং মেদ বৃদ্ধিজনিত অনেক রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ইউরিক এসিডের আধিক্যজনিত কারণে গিঁটে যে ব্যথা হয় তাও চলে যাবে।
কৃমিরোগ
শিশুরা কৃমি রোগে বেশি ভোগে। তাই শিশুদেরও লেবুর রস খাওয়াতে হবে। ৪-৫ বছর বয়সী শিশুদের বেলায় অর্ধেক পরিমাণ কাগজি লেবুর রস ২ কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
কিশোর-কিশোরীদের বেলায় একই পরিমাণ পানিতে দিতে হবে ১টি লেবু, পূর্ণবয়স্কদের বেলায় ২টি লেবু। মাত্র এক সপ্তাহ এটা খেলে সুতা কৃমি, গোল কৃমি, ফিতা কৃমি- যাই থাকুক না কেন উপদ্রবটা দূর হবে।
সর্দি লাগা
সর্দি লেগে সর্দি হলে, নাক দিয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকলে রঙ চায়ের সাথে আধ টুকরো লেবুর রস ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যায়।
এর সাথে কয়েক টুকরো আদা দেয়া যেতে পারে। একবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর আবার খেতে হবে। এই ভাবটা না যাওয়া পর্যন্ত এটা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে এক সময় নাক দিয়ে পানি বা সর্দি ঝরা বন্ধ হবে।
হাঁচি-কাশি ও স্বরভঙ্গ
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলে সেই সাথে কাশিটাও হতে পারে। অনেক চেঁচামেচি বা হঠাৎ সর্দিকাশি হলে গলা ভেঙে যায়। এরূপ ক্ষেত্রে একটি কাগজিলেবু মাঝখান বরাবর লম্বালম্বিভাবে দোফালা করে চিরে তার বুকে লবণ মাখাতে হবে।
তারপর সেই লেবুর টুকরো হালকা আঁচে আগুনে গরম করতে হবে। লেবু গরম হলে লবণ গলে লেবুর সাথে মিশে যাবে। তখন সেটা নামিয়ে চিপে সহ্যমতো গরম রস জিভের উপর ছাড়তে হবে ও চেটে খেতে হবে। এভাবে সারা দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে এ অসুবিধা চলে যাবে।
পুরনো জ্বর
ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি জ্বরে দীর্ঘদিন ভোগার পর মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যায়, তখনো মনে হয় জ্বরটা পুরোপুরি যায়নি, শরীর দুর্বল লাগে, শরীর ম্যাজম্যাজ করে, খিদে কম লাগে, কাজে মন বসে না।
এরূপ অবস্থায় সব ওষুধ বন্ধ করে শুধু লেবু চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। রোজ সকালে ও বিকালে হালকা গরম পানিতেলেবুর রস মিশিয়ে এক মাস খেয়ে যেতে হবে।
টক বেশি লাগলে এর সাথে সামান্য লবণ মেশানো যেতে পারে। এটা খেলে জন্ডিস রোগেও উপকার পাওয়া যায়।
খুসকি
একটা কাগজিলেবুর রস তার চার গুণ পরিমাণ গরম পানেতে মিশিয়ে গোসলের আগে চুলের গোড়ায় মাখিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হবে।
রস শুকিয়ে গেলে গোসল করে স্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। একদিন অন্তর একদিন এভাবে ৩-৪ বার লেবুর রস দিলে চুল ও মাথা খুসকিমুক্ত হবে। না গেলে আরও কয়েক দিন লাগাতে হবে। যে কোন লেবুর রসে এ কাজ হতে পারে।
দাদ
লেবু দিয়ে কত সহজেই না দাদ রোগ সারা যায়! একটা কাগজিলেবু মাঝ বরাবর কেটে বা চিরে সেই টুকরো কিছুক্ষণ দাদের উপরে ঘষতে হবে। এভাবে দিনে ২ থেকে ৩ বার ঘষলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দাদরোগ ভালো হয়ে যাবে। একইভাবে লেবু ঘষে মুখের মেছতা ও ছুলি দাগ দূর করা যায়।
দাঁতে পাথর
আধা চা-চামচ খাবার সোডা, একটু লবণ। এর সাথে লেবুর রস দিলে গ্যাজা উঠবে। এর সাথে টুথপেস্ট বা টুথ পাউডার মিশিয়ে ২-৩ মিনিট ব্রাশ করলে দাঁতের লালচে ভাব কেটে সাদা হবে ও দাঁতের ফাঁকে জমা পাথর হলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রতি মাসে একবার এটা করলে দাঁত সবসময় সাদা থাকবে।
চুল পাকা
পাকা চুল কালো করার জন্য আমলকি ছেঁচে বেটে মলমের মতো করতে হবে। তার সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মাখতে হবে। এতে সাদা চুল কালো হবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে। রোজ বা সপ্তাহে একদিন এটা করা যায়।
রোজ করলে তাড়াতাড়ি চুল কালো হবে। এ ছাড়া আর একভাবে সাদা বা পাকা চুল কালো করা যায়। এজন্য ২ চা-চামচ চা পাতি, ২ চা-চামচ হেনা পাউডার ও ২ চা-চামচ মধু একসাথে ছোট একটা বাটিতে নিয়ে ভালো করে ফেটতে হবে। এরপর তার মধ্যে একটু লেবুর রস দিয়ে আবারও ভাল করে তা মিশাতে হবে।
এর সাথে একটু পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ফুটাতে হবে। ফুটার পর নামিয়ে তা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে মেখে ম্যাসাজ করতে হবে। ব্যবহারের আগে মাথা ভাল করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। তালু থেকে চুলের আগা পর্যন্ত ভাল করে মেখে ২০ মিনিট রেখে পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
কাগজি লেবুর অপকারিতা
কাগজি লেবু খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু খেলে দাঁত টক হয়ে যেতে পারে, এবং দাঁতের বাইরের স্তরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- যদি কোন ব্যক্তির লেবুর মধ্যে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই ব্যক্তির লেবু এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। অ্যালার্জির লক্ষণ হবে চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
- লেবু হচ্ছে ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎস। আর অতিরিক্ত মাত্রায় লেবু খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস খাওয়ার ফলে মাইগ্রেন হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস ত্বকের ক্ষতিকারক জীবাণু পোষক হিসেবে কাজ করতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস ক্যানকার ঘা আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রই লেবু খাওয়ার ফলে গ্যাস, অম্বল, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
কাগজি লেবুর ব্যবহার
প্রতিদিনের জীবনে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাগজি লেবুর ব্যবহার করে থাকি চলুন জেনে আসা যাক
- লেবুর রসকে আমরা সালাদের ব্যবহার করতে পারি।
- লেবু রস আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- গ্রিন টি বা লিকার চায়ে লেবুর রস দিয়ে পান করা যেতে পারে।
- লেবুর আঁচার তৈরি করে খেতে পারেন।
- লেবুর রস দিয়ে লেবুর জল তৈরি করা যেতে পারে। আবার লেবুর শরবত তৈরি করা যেতে পারে।
- ব্রণের দাগ দূর করতে লেবুর রস লাগানো যেতে পারে।
- মাথার খুশকি দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- চুলে কালার লাগানোর সময় লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ফ্রিজ বা মাইক্রোওভেন পরিষ্কার করার সময় লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- জামা কাপড়ে কিছুর দাগ লেগে গেলে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে দাগ দূর হয়ে যাবে।
কাগজি লেবু সংরক্ষণ
কাগজি লেবু সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে চলুন এর সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- প্রথমে সব থেকে ভালো লেবুগুলো দেখে নিতে হবে।
- নরম এবং পচা লেবুগুলি কখনো কিনবেন না।
- লেবুর গায়ে যদি বাদামি দাগ থাকে তো লেবু কিনবেন না।
- হলুদ রঙের বেড লেবু কিনবেন।
- ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় লেবু ৫ থেকে ৭ দিন রাখা যেতে পারে।
- কবে ফ্রিজে রাখলে বেশ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লেবু সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে।
- এবার আমরা জেনে নেব লেবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
কাগজি লেবুর রসে রুই
উপকরণ
কাগজি লেবুর রস ২ টো লেবু, কাগজি লেবুর পাতা ৩-৪ টে, পাকা রুই ৪ টুকরো, শিলে বাটা জিরে ২ চামচ, শিলে বাটা শুকনো লঙ্কা ২ চামচ, শিলে বাটা হলুদ আধ চামচ, শিলে বাটা পোস্ত ১ চামচ, পাকা কাঁচালঙ্কা ৩-৪ টে, নুন-চিনি স্বাদমতো, সর্ষের তেল।
প্রণালী
প্রথমে মাছটা পরিষ্কার করে নিন। এর পর সেগুলো নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল গরম করেতে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে সব রকমের বাটা মশলা দিয়ে কষান।
কষানো হয়ে গেলে অল্প জল দিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিন চাইলে মাছটা ভেজেও দিতে পারেন। লেবুপাতাগুলো দিয়ে নুন-চিনি-কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। জল শুকিয়ে এলে লেবুর রস দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নামিয়ে গরমগরম পরিবেশন করুন কাগজি রুই।