যষ্টিমধুর উপকারিতা, অপকারিতা এবং খাবার নিয়ম
যষ্টিমধুর নাম শুনেই অনেকের কাছে এটিকে চিরচেনা মধুর মতো মনে হতে পারে, আসলে কিন্তু তা নয়। যষ্টিমধু হচ্ছে গাছের মূল বা শিকড়, কিন্তু মধু না হলেও এ শিকড়টি মধুর মতো স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকার করে
যষ্টিমধু হচ্ছে গ্লাইসাইররিজা গ্লাবরা গাছের শিকড়।
বাংলায় গাছটিকে যষ্টিমধু গাছ বলা হয়ে থাকে। যষ্টিমধুর শিকড় থেকে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। এটি লিগিউম জাতীয় বিরুৎ যা মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়।
মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের অনেক দেশে চকোলেট এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রস্তুতিতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে যষ্টিমধু ঔষধি উদ্ভিদ নামে পরিচিত। এটি উদ্ভিদগতভাবে গোমৌরি, স্টার অ্যানিস বা মৌরির সাথে সম্পর্কিত নয়, যা অনুরূপ স্বাদযুক্ত মশলার উৎস। যষ্টিমধু আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে অধিক পরিমাণে যষ্টিমধু একদিনে খেলে গ্লাইসাররিজিনিক এসিড রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং মাংসপেশী দুর্বল করে দেয় ও হাইপোক্যালেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যষ্টিমধু সূর্যের আলো পায় এমন শুকনো উপত্যকায় ভালো জন্মে। রোপণের দুই থেকে তিন বছর পরে শরত্কালে ফসল তোলার উপযুক্ত হয়।
যষ্টিমধু উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ইরান, ইতালি, আফগানিস্তান, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং তুরস্ক।
যষ্টিমধুর পুষ্টিগুণের তালিকা
নিচের তালিকাটিতে প্রায় ১ টেবিল চামচ (আনুমানিক ৭ গ্রাম) শুকনো যষ্টিমধুর পুষ্টিগুণ এবং একটি গড় প্রাপ্তবয়স্কের দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী শতাংশ (পারসেন্ট) প্রদর্শিত হলো। এছাড়াও যষ্টিমধু সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া হলো:
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১ টেবিল চামচ শুকনো যষ্টিমধু | দৈনিক চাহিদার | অন্যান্য |
---|---|---|---|
ক্যালোরি | ২৩ | ১% | |
মোট চর্বি | ০ গ্রাম | ০% | |
সোডিয়াম | ০ মিলিগ্রাম | ০% | |
মোট কার্বোহাইড্রেট | ৬ গ্রাম | ২% | |
আঁশ | ১ গ্রাম | ৪% | পরিপাকের জন্য জরুরি |
চিনি | ৩ গ্রাম | – | |
প্রোটিন | ০ গ্রাম | ০% | |
পটাসিয়াম | ১০৬ মিলিগ্রাম | ২% | |
ক্যালসিয়াম | ৩৭ মিলিগ্রাম | ৩% | হাড়ের স্বাস্থ্য |
লোহা | ৩.৭ মিলিগ্রাম | ২০% | |
ম্যাগনেসিয়াম | ১২ মিলিগ্রাম | ৩% | দেহের বিভিন্ন কাজে |
দৈনিক চাহিদা হিসাব করা হয়েছে ২,০০০ ক্যালোরি খাবারের উপর ভিত্তি করে।
অতিরিক্ত তথ্য
- অন্যান্য নাম: মেঠি, মিঠা চাড় |
- রূপ : শুকনো কাণ্ড, গুঁড়ো, ক্যাপসুল, নির্যাস, চা হিসেবে পাওয়া যায়।
- ঐতিহ্যবাহী ব্যবহার: গলা ব্যথা, কাশি কমানো, হজমে সাহায্য, প্রদাহ কমানো ও ভাইরাসনাশক হিসেবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি
- অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
- নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করতে পারে, তাই ব্যবহারের আগে বিশেষ করে শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গুরুত্বপূর্ণ অস্বীকৃতি:
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শরীরের সমস্যার জন্য ঔষধি নির্ভর করা ঠিক নয়।
- ঔষধি পুষ্টিগুণ উৎস ও প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা
দেশীয় আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হামদর্দ’য়ের দেওয়া তথ্যানুসারে যষ্টিমধুর গুণাগুণ এখানে দেওয়া হল।
আলসার নিরাময়ে
ক্লিনিক্যাল ও এক্সপেরিমেন্টাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন ও গ্লাইসিরাটিক অ্যাসিড আলসার সৃষ্টিকারী ১৫ হাইড্রোক্সিপ্রোস্টাগ্লান্ডিন ডিহাইড্রোজিনেস ও প্রোস্টাগ্লান্ডিন রিডাকটেজ এনড্রাইমের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে এবং পাকস্থলীতে আলসার বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক এনজাইম প্রোস্টাগ্লান্ডিল ই এবং এফ নিঃসরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষা করে।
যষ্টিমধু পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেন হতে মিউসিন নিঃসরণ উদ্দীপ্ত করে, পাকস্থলীর এপিথেলিয়াল কোষসমূহ শক্তিশালী করে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেপটিক আলসার নিরাময় করে।
ফুটন্ত পানিতে যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়।
যকৃত লিভার সুরক্ষায়
যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের কবল থেকে লিভারকোষসমূহ সুরক্ষা করে।
টিউমার প্রতিরোধক
গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ কার্যকারীতা প্রতিহত করে।
কফ নিঃসারক ও কাশি কমায়
যষ্টিমধু তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং কাশি ভালো করতে পারে। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে।
অ্যালার্জি প্রতিরোধক
যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে যষ্টিমধু
গ্লাইসিরাইজিন বিভিন্ন কঠিন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার রোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধু রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাক প্রতিরোধ করতে পারে।
পেটের সমস্যায় আরাম দেয়
বুকজ্বালা, পাকস্থলির আলসার, কোলাইটিস, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাকস্থলির ভেতরের স্তরের প্রদাহ ও পরিপাকতন্ত্রের ওপরের স্তরে প্রদাহজনিত অসুস্থতায় যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়, বলেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ডায়েটিশিয়ান জুলি আপটন।
যষ্টিমধু হচ্ছে প্রশান্তিদায়ক প্রদাহরোধী, তাই এটি আলসারেটিভ কোলাইটিস বা আন্ত্রিক প্রদাহ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এভিডেন্স-বেসড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড আলসারেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, ডিগ্লাইসিরাইজিনেটেড যষ্টিমধু পাকস্থলির আলসার নিরাময়ে কার্যকর।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে
আপনি প্রায়সময় স্ট্রেস বা মানসিক চাপে আচ্ছন্ন হলে যষ্টিমধু সাহায্য করতে পারে। মলিকিউলার অ্যান্ড সেলুলার এন্ডোক্রিনোলজি নামক মেডিক্যাল জার্নালের প্রতিবেদনে আছে, এটি শরীরকে অধিক কার্যকরভাবে স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে
তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার যেমন- কাশি বা কফ, গলা ব্যথা, হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস চিকিৎসা হিসেবে যষ্টিমধু ব্যবহার করা যেতে পারে, বলেন রিমেডিস ফর মি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা রেবেকা পার্ক।
ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট উপরিস্থ শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন প্রশমিত করতে পারে ষষ্ঠিমুধ। এটি ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা দূর করতে পারে এবং ব্রঙ্কিয়াল স্প্যাজম বা ব্রঙ্কিয়াল টিউবের মাংসপেশির সংকোচনকে শিথিল করতে পারে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
যষ্টিমধুতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে এবং এটি ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। ফুড কেমিস্ট্রি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যষ্টিমধু শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে ও শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে।
ত্বককে প্রাণবন্ত করে
আপনি যষ্টিমধুকে অভ্যন্তরীণ অথবা বাহ্যিক যেভাবেই ব্যবহার করেন না কেন, এতে ত্বকের উপকার হয়, বলেন ডা. পার্ক। তিনি যোগ করেন, ‘ষষ্ঠিমধু ত্বকের একজিমা, সোরিয়াসিস, প্রদাহ, সানবার্ন, লালতা ও পায়ের ছত্রাক জনিত অ্যাথলেট’স ফুট নিরাময়ে অবদান রাখে।’ ত্বকের ফোলা ও চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে যষ্টিমধুর নির্যাস থেকে প্রস্তুতকৃত টপিক্যাল সল্যুশন ব্যবহার করতে পারেন।
দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে
যষ্টিমধু হচ্ছে একটি মাল্টিপারপোজ হার্ব, যা আপনার দাঁত ও মাড়িকেও সুস্থ রাখতে পারে। জার্নাল অব ন্যাচারাল প্রোডাক্টসে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, যষ্টিমধুতে দুটি কার্যকরী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ ঠেকাতে পারে।
যষ্টিমধু খাওয়ার অপকারিতা
উপকারিতার সাথে এর ছোট খাটো কিছু অপকারিতাও রয়েছে চলুন জেনে আসা যাক এর অপকারিতা গুলো।
- এটি উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ইস্ট্রোজেন সংবেদনশীল রোগ, কিডনি, হৃদয় বা লিভার এবং মাসিক সমস্যা মত চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা এটি ব্যবহার করবেন না।
- অত্যাধিক যষ্টিমধু ব্যবহার করলে পেশী দুর্বলতা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ফোলা, পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
- যষ্টিমধু অতিরিক্ত ব্যবহার পেশী দুর্বলতা হ্রাস হতে পারে, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ফোলা, অ্যাডেনোমা, শ্বাস প্রশ্বাস, জয়েন্টগুলোতে কঠোরতা এবং পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে ।
- লিকোরিসে ইস্ট্রোজেন উত্তেজক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে । উপরন্তু, এটি ব্যবহার করার ফলে ফিব্রানটিক ব্রেস্ট, স্তন ক্যান্সার, গর্ভাশয়ে ক্যানসার হতে পারে।
- যারা ডাইইউরেটিক বা হাইপোথাইরয়ডিজম রোগে ভুগছেন তারা যষ্টিমধু ব্যবহার করবেন না।
- দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে যষ্টিমধুতে অস্বাভাবিক ওজন বাড়তে পারে ।
খাওয়ার নিয়ম
ফুটানো জলে যষ্টিমধু ভিজিয়ে রেখে ওই জলে অল্প করে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। খুব সহজেই অ্যাসিডিটি দূর হবে। মৃগী রোগ থাকলেও সেই যষ্টিমধুই উপকারী। এক বা দুই গ্রাম যষ্টিমধু আধকাপ চালকুমড়োর রসের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ খেলে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে।
দিনে কতটুকু খাওয়া উচিত
মধু এখনও চিনির একটি ফর্ম এবং খাওয়া মাঝারি হওয়া উচিত। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সুপারিশ করে যে মহিলারা যোগ করা শর্করা থেকে দিনে 100 ক্যালোরির বেশি পান না; পুরুষদের দিনে 150 ক্যালোরির বেশি নয়। এটি মহিলাদের জন্য দুই টেবিল চামচ এবং পুরুষদের জন্য তিন টেবিল চামচের একটু বেশি ।
যষ্টিমধু পাউডার
যষ্টিমধুর গুঁড়া পানিতে ভিজিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর হয় ও অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রশমিত হয়।
যষ্টিমধুর গুঁড়া দুধের সাথে মিশিয়ে পান করলে ̄সৃতিশক্তি প্রখর হয়। যষ্টিমধুর গুঁড়া সাথে ঘি মিশিয়ে মুখে ব্যহার করলে মুখের ব্রণ, বলিরেখা ও চর্মরোগ দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।
ত্বকের যত্নে যষ্টিমধু
নিষ্প্রাণ ও শুষ্ক ত্বকের সমাধানে যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের সঙ্গে পরিমাণমতো দুধ, অ্যালোভেরা জেল ও টকদই মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
এই প্যাকটি সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব কমে যাবে আর ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড ও সফট। এই প্যাকগুলো গলায়, হাতে, পায়েও ব্যবহার করা যায়।
যষ্টিমধু গুড়া খাওয়ার নিয়ম
ফুটন্ত পানিতে পরিমাণ মত যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়। এছাড়া দুধের সঙ্গেও পান করা যায়।
আপনি চাইলে পরিমাণ মত শুধু গুঁড়াও খেতে পারেন। সাধারণ মশলার দোকানেই যষ্টিমধু পাবেন, আর অনলাইন শপগুলো থেকেও নিতে পারেন।