হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণ – সতর্ক থাকুন, জীবন বাঁচান
হার্ট স্ট্রোক, যা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন নামেও পরিচিত, হলো একটি জটিল হৃদরোগ।
হার্টের পেশীতে রক্তপ্রবাহে বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারণে শরীরের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না এবং হার্টের টিস্যুগুলো মারা যেতে শুরু করে।
এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে ।
হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ একজন থেকে অন্যজনে ভিন্ন হতে পারে এবং এগুলো হঠাৎ বা ধীরে ধীরেও প্রকাশ পেতে পারে। সময়মতো এই লক্ষণগুলি শনাক্ত করা এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণের বৈচিত্র্য
- নিরব হার্ট অ্যাটাক: সমস্ত হার্ট স্ট্রোক উপরে উল্লেখিত ক্লাসিক উপসর্গগুলি সৃষ্টি করে না। কিছু ক্ষেত্রে, তারা হালকা বা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত থাকতে পারে, যা “নিরব হার্ট অ্যাটাক” বা “সাইলেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন” নামে পরিচিত। এই ঘটনায় রোগী বিশেষ কিছু অনুভব নাও করতে পারে, বা অস্পষ্ট দুর্বলতা বা অস্বস্তিবোধ করতে পারেন।
- লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য: মহিলাদের লক্ষণ পুরুষদের থেকে ভিন্ন হতে পারে। তীক্ষ্ণ বুকে ব্যথার বদলে অস্বস্তিবোধ, মামুলি ব্যথা, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা, এবং অপ্রত্যাশিত ক্লান্তি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
- সহাবস্থানকারী রোগের ভূমিকা: যদি ডায়াবেটিস, নার্ভের ড্যামেজ, বা আগে থেকে হার্ট ডিজিজ থাকে তবে ব্যথার অনুভূতি কম হতে পারে।
মহিলাদের মধ্যে হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। বুকে ব্যথার চেয়ে নিচের লক্ষণগুলি মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়:
১. শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হওয়া, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, অথবা শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।
২. বমি বমি ভাব বা বমি: বমি বমি ভাব, বমি, অথবা পেট খারাপ হওয়া হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।
৩. পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা: বুকের ব্যথার পরিবর্তে, মহিলাদের পিঠে, ঘাড়ে, বা চোয়ালে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৪. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দুর্বলতা, বা শক্তিহীনতা অনুভূত হওয়া হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।
এছাড়াও, মহিলাদের মধ্যে হার্ট স্ট্রোকের আরও কিছু লক্ষণ হল:
- বুকে চাপ, জ্বালাপোড়া, বা অস্বস্তি।
- মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যাথা।
- ঘাম হওয়া।
- অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি।
- হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস।
করণীয়ঃ লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা নিরাপদ নয়
- অস্পষ্ট লক্ষণ যদি হয়, তবেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ স্পষ্ট নয়, বা যদি অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করে, তবেও একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা অত্যাবশ্যক।
- দ্রুত চিকিৎসার গুরুত্ব: হার্ট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায় এবং অকালমৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে উদাহরণ প্রদান
নিচের মত কিছু উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে:
- উদাহরণ ১: একটি মধ্যবয়সী মানুষ তার বুকে অস্বস্তি বোধ করেন, যা তার বাহুতেও বিকিরণ করে। সাথে সাথে ঠান্ডা ঘাম ও হালকা মাথা ঘোরারও অনুভূতি শুরু হয়। যদিও সময়ের সাথে সাথে তার লক্ষণগুলোর তীব্রতা কমতে থাকে, তবুও তিনি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সেবা নেন।
- উদাহরণ ২: একজন প্রবীণ মহিলার হঠাৎ বমি বমি ভাব হয়, অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ শুরু হয়, এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয় । কোন প্রকার বুকের ব্যাথা না থাকলেও দ্রুত চিকিৎসার সিদ্ধান্ত তাঁকে একটি নির্ব হার্ট স্ট্রোক থেকে বাঁচায়।
হার্ট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপর টিপস
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করে একটি স্বাস্থ্যকর হৃদয় বজায় রাখার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর পুষ্টির গুরুত্ব: ফল, শাকসবজি ও গোটা শস্যসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত চর্বি, কোলেস্টেরল, এবং সোডিয়াম সম্পন্ন খাবার এড়ানো।
- নিয়মিত ব্যায়াম: স্বাস্থ্যকর হৃদয় এবং ওজন বজায় রাখতে সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ করা।
- ধূমপান ত্যাগ: হার্ট স্ট্রোক এবং হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি উল্লেখযোগভাবে বাড়িয়ে দেয়।
- রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: সুস্থ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য জন্য অপরিহার্য।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হার্ট স্ট্রোকের কারণ
হার্ট স্ট্রোকের সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হল কোরোনারি আর্টারি ডিজিজ। হার্টের পেশীতে রক্ত বহনকারী যে ধমনীগুলো রয়েছে তাতে যখন চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে প্লাক তৈরি করে এবং আর্টারির পথ সরু করে দেয় বা বন্ধ করে দেয়, তখন রক্তপ্রবাহের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হার্টের পেশী অক্সিজেন ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয় এবং হার্ট স্ট্রোক হতে পারে।
হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এমন বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- উচ্চ রক্তচাপ: ধমনীতে অস্বাভাবিক চাপ প্রয়োগ করে হার্টের পেশীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়।
- উচ্চ কোলেস্টেরল: ধমনীতে চর্বি জমা করে, যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে।
- ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ধূমপান: ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন অতিরিক্ত চর্বি, কোলেস্টেরল, এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ধমনী ক্ষতি করতে পারে।
- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়াম না করা হার্টের পেশী দুর্বল করে এবং ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ঝুঁকি বাড়ায়।
- বার্ধক্য: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে হার্ট স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
করণীয়
উপরে উল্লেখিত যেকোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। চিকিৎসায় বিলম্ব মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্ট স্ট্রোকের পর যত দ্রুত সম্ভব করোনারি ধমনী খুলে দেওয়াটা চিকিৎসার মূল লক্ষ্য ।
হার্ট স্ট্রোক প্রতিরোধ
নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খান।
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়ামের পরিমাণ সীমিত করুন।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম
- সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ করুন।
- হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, বা নাচের মতো অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলি হার্টের জন্য খুব ভালো।
- শক্তি প্রশিক্ষণ ব্যায়ামও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পেশী তৈরি করে এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
- আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর ওজন কত তা জানতে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধূমপান ত্যাগ করুন
- ধূমপান হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে।
- ধূমপান ত্যাগ করা হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি।
- ধূমপান ত্যাগ করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন রিসোর্স এবং প্রোগ্রাম উপলব্ধ রয়েছে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- উচ্চ রক্তচাপ হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- প্রয়োজনে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ সেবন করুন।
ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- ডায়াবেটিস হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- প্রয়োজনে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ সেবন করুন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- উচ্চ কোলেস্টেরল হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
- নিয়মিত আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
নিয়মিত চেকআপ করান
- উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, এবং ডায়াবেটিসের মতো হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চেকআপ করান।
- আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং আপনার হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন তা অন্বেষণ করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন
- যদি আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের নির্দেশমতো এগুলো সেবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার ডাক্তারের সাথে সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য ওষুধসমূহের সাথে মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলুন।
আপনার ডাক্তার অবস্থা বুঝে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারে, যেমন :
অতিরিক্ত টিপস
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হার্টের সমস্যায় অবদান রাখতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশলের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম পান: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুম হৃৎপিণ্ড ও শরীরকে বিশ্রাম দেয়, ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
- অ্যালকোহল সীমিত করুন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পুরুষদের জন্য দৈনিক দুই পানীয় এবং মহিলাদের জন্য একটির বেশি পানীয় গ্রহণ করা ঠিক নয়।
হৃদ-স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী রপ্ত করা
উপরে উল্লেখিত টিপসগুলিতে বিশেষ ফোকাস করার মাধ্যমে একটি হার্ট-স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী অভ্যাস করা সম্ভব। সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
হার্ট স্ট্রোকের লক্ষণগুলির ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রাণঘাতী জটিলতা এড়াতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য। এতে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং আকস্মিক হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকিটাও কমে যায়।
অস্বীকৃতি: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। সবসময় আপনার রক্তনালী বা যেকোনো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের জন্য একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
