অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম
অলিভ অয়েল তেল হলো একটি সুপারফুড, যা খাদ্যের সঙ্গে একটি জরুরি অংশ। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ফুলের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট, বিটাকারোটিন, পলিফেনল এবং অমেগা-৯ ফ্যাট অ্যাসিডের উৎস।
এটি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে হামলা কমাতে সাহায্য করে। এটি চুল, চর্ম এবং চোখের স্বাস্থ্যকেও উন্নত করে। অলিভ অয়েল তেলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টিফাংগাল গুণগুলি থাকায় এটি ত্বকের জন্যও খুবই ভাল। এটি শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যকে মেরুদণ্ড করে।
অলিভ অয়েল কি?
অলিভ অয়েল কি এর এক কথায় জবাব হল, ইহা এক প্রকার তরল তেল যা অলিভ ফল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। অলিভ ফল পরিবারভূক্ত প্রজাতির উদ্ভিদে জন্মে।
ইহা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খুব পরিচিত এক উদ্ভিদ। অধিক পরিমানে সেখানে জন্মাতে দেখা যায়। সাধারণত: রান্না-বান্নার কাজ থেকে শুরু করে কসমেটিকস, ফার্মাসিউটিক্যালস, সাবান তৈরি প্রভৃতি কাজে এর ব্যবহার লক্ষণীয়।
অলিভ ওয়েলের পুষ্টিগুণের তালিকা (প্রতি ১ টেবিল চামচ / ১৫ মিলিলিটার)
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ | দৈনিক চাহিদা মূল্য (%DV)* |
---|---|---|
ক্যালোরি | ১১৯ কিলোক্যালোরি | ৬% |
মোট চর্বি | ১৪ গ্রাম | ২২% |
স্যাচুরেটেড ফ্যাট | ২ গ্রাম | ১০% |
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট | ১০ গ্রাম | N/A |
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট | ১.৪ গ্রাম | N/A |
ভিটামিন ই | ১.৯ মিলিগ্রাম | ১০% |
ভিটামিন K | 8.1 মাইক্রোগ্রাম | 10% |
দৈনিক চাহিদা মূল্য (DV) ২,০০০ ক্যালোরি মানের একটি খাদ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে।
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা
অলিভ অয়েল বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে কারণ এতে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।
এটিতে প্রদাহ উপশমকারী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। তাই এর স্বাস্থ্যগুন অনেক।
অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ
অলিভ অয়েল হল জলপাই থেকে নিষ্কাশিত প্রাকৃতিক তেল যা জলপাই গাছের ফল থেকে তৈরি হয়। এই তেলে প্রায় 14% স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেখানে 11% পলি-আনস্যাচুরেটেড, যেমন ওমেগা -6 এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড আছে ।
কিন্তু অলিভ অয়েলের প্রধান ফ্যাটি অ্যাসিড হল একটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা অলিক অ্যাসিড নামে পরিচিত, যা মোট তেলের 73% । গবেষণা দেখা যায় যে, অলিক অ্যাসিড প্রদাহ কমায় এবং এমনকি ক্যান্সারের সাথে যুক্ত কোষের উপর উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে ।
অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পুষ্টিকর। এর উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও এতে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন ই এবং কে রয়েছে।
অলিভ অয়েল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি জৈবিকভাবে সক্রিয় এবং আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
এগুলি প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আপনার রক্তের কোলেস্টেরলকে কন্ট্রোল করে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ।
অলিভ অয়েল শক্তিশালী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যান্সার, হৃদরোগ, বিপাকীয় সিনড্রোম, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, আলঝেইমারস, আর্থ্রাইটিস এবং এমনকি স্থূলতার মতো রোগের প্রধান চালক বলে মনে করা হয়। অলিভ অয়েল প্রদাহ কমাতে পারে ।
রান্নার কাজে অলিভ অয়েলের ব্যবহারঅলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট উচ্চ তাপের জন্যও বেশ উপযোগী তাই রান্নার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা যায় । যা খাবারের পুষ্টিগুণ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ।
অলিভ অয়েল স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে
স্ট্রোক আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের বাধার, রক্ত জমাট বাঁধার কারণে বা রক্তপাতের কারণে হয় ।
বেশ কিছু বড় গবেষণা প্রমাণ পাওয়া গেছে যে যারা অলিভ অয়েল খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম ।
অলিভ অয়েল হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক
হৃদরোগ বিশ্বের মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ একটি কারণ । কয়েক দশক আগে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলিতে হৃদরোগ কম সাধারণত।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হৃদরোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে ।
চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে কিছু নিয়ম মানতে হয়। চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের আগে চুল পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে শুকিয়ে অলিভ অয়েল ভালোভাবে চুলে লাগাতে হবে।
পাকস্থলীর জন্য উপকারী
খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে শরীরের কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় । অলিভ অয়েল তেলের আরেকটা উপকারি বিষয় হলো, এটা পাকস্থলীর জন্য ভালো।
শরীরের ক্ষতিকর এসিড কমায়
অলিভ অয়েল দিতে তৈরিকৃত খাবার খেলে যকৃৎ পরিষ্কার থাকে । অলিভ অয়েল যকৃৎ পরিষ্কার রাখতে সহযোগীতা করে ।
কোষ্টকাঠিন্য দূর করে
কোষ্টকাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ জলপাই তেল কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা
অলিভ অয়েল মুখে বা গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো কমে যায় । আবার সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের দাগ কমাতে জলপাই তেল ব্যবহার করা হয় যা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার।
ত্বকে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল
প্রতিদিন ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ট্যান পড়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। এই তেল প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে।
তাছাড়া অলিভ অয়েলের মধ্যে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েলের মধ্যে ভিটামিন এ, কে এবং ই রয়েছে। পাশাপাশি অলিভ অয়েলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল ত্বক জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে এবং ব্রণর সমস্যা নিরাময় করে। ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতেও সাহায্য করে অলিভ অয়েল।
আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক হয়, তাহলেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি সান ট্যান দূর করতে চান, তাহলে বিশেষ উপায়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
- মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ত্বকের উপর ভাল করে মালিশ করুন। মিনিট ১৫ রাখুন।
- তারপর ভিজে তোয়ালে ব্যবহার করে ত্বক মুছে নিন। এই ভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ট্যান দূর হয়ে যাবে।
- রোদে ত্বক পুড়ে গেলে আরও এক উপায়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এক কাপ অলিভ অয়েলের সঙ্গে অর্ধেক কাপ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
- এটা ট্যান পড়ে যাওয়া জায়গায় দিনে চার-পাঁচবার লাগান। দেখবেন, ত্বকের জ্বালাভাব এবং পোড়াভাব দুটোই কমে গিয়েছে।
- ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেও আপনি ট্যান দূর করতে পারবেন। স্নানের জলে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
- আমাদের ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে। নিয়মিত অলিভ ওয়েলের ব্যবহার এই ঘাটতির আশঙ্কা দূর করে।
প্রচুর ভিটামিন এ ও ই-এর পাশাপাশি এই তেলে ভিটামিন ডি ও কে থাকে, যা ত্বকের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশকেও সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়। তাই এটিকে সরাসরি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বা ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
এবার ওই জল দিয়ে স্নান করুন। স্নানের পর গা মুছে নিলেই দেখবেন ত্বক নরম দেখাচ্ছে। এতে সহজে ত্বকে ট্যান পড়বে না। পাশাপাশি শীতে ত্বক কোমল থাকবে।
মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
অলিভ অয়েল তেল মুখে ব্যবহারের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করা উচিত:
- প্রাথমিক পরিষ্কারতা: মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের আগে মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। সাবান এবং পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ভালোভাবে শুকানো হয়ে নিন।
- অলিভ অয়েল তেলের পরিমাণ: মুখে অলিভ অয়েল তেলের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত। সাধারণত কিছু ছিটিয়া অলিভ অয়েল তেল ধনুন মুখে প্রয়োগ করা যায়। অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে মুখের ত্বক ভেজাল হতে পারে।
- স্থানীয় পরীক্ষা: মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের আগে, আপনি যদি কোনও প্রতিক্রিয়া অথবা অলার্জির সমস্যা সম্মুখীন হন, তবে আগে তা স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি বা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
- স্বাস্থ্যকর অলিভ অয়েল তেল নির্বাচন করুন: সর্বদা ভালো মানের ওরজিনাল অলিভ অয়েল তেল নির্বাচন করুন। প্রতিষ্ঠানের মানসম্পন্ন ও পরিচিত ব্র্যান্ড থেকে কেনার চেষ্টা করুন।
- মুখে ব্যবহার প্রক্রিয়া: আপনি অলিভ অয়েল তেল আপনার মুখে প্রয়োগ করতে পারেন একটি পাম্প বা স্পেশাল করে ডিজাইন করা মুখের ব্রাশ ব্যবহার করে। তেলটি ভালোভাবে মুখে মাসান পর্যন্ত সমানুপাতিক চলাচলের সাথে লাগান।
- প্রতিবেশি চিন্তা করুন: অলিভ অয়েল তেল মুখে আবার আপনার ত্বকের সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া বা অসুবিধা সৃষ্টি করলে, ব্যবহার বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই নিয়মাবলীগুলি অনুসরণ করে মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার পর আপনি আরাম এবং উপকারিতা অনুভব করতে পারবেন।
তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যদি আপনার কোনও সমস্যা থাকে বা আপনি কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসকের নির্দেশানুসারে চিকিৎসা করছেন।
আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
অলিভ অয়েলের ক্ষেত্রেও আপনি করতে পারেন ফ্রিজ টেস্ট। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল একটি পাত্রে নিয়ে ২ ঘন্টার জন্যে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
২ ঘন্টা পরে যদি দেখেন অলিভ অয়েল জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইডই আছে, তাহলে আপনার অলিভ অয়েলটি খাঁটি নয়। যদি দেখেন যে এটি হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে গেছে, তবেই বুঝবেন আপনার তেলটি খাঁটি।
অলিভ অয়েল কয় প্রকার?
অলিভ ওয়েল তেলের প্রকারভেদ নিয়ে অনেক সন্দেহ রয়েছে। কোন ধরনের তেল ভাল আর কোনটি খারাপ – এগুলো নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠতে দেখা যায়। নিচে সংক্ষেপে অলিভ ওয়েল তেল কত প্রকার এবং তার গুনাগুন তুলে ধরা হচ্ছে-
এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল
এটি হল সবচেয়ে ভাল মান সম্পন্ন তেল এবং এর দাম সবচেয়ে বেশী। ইহা সম্পূর্ণরুপে অপোরিশোধিত তেল। এর এসিডিটি লেভেল ০.৮% এর বেশী নয় যা অন্যান্য অলিভ ওয়েলের তুলনায় সবচেয়ে কম।
কোন প্রকার তাপ এবং রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োগ ছাড়া এই ধরণের অলিভ ওয়েল তেল প্রস্তুত করা হয়। এর ফলে এর মধ্যে বিদ্যমান থাকে অলিভস এর অরিজিনাল সুগন্ধ।
এর মধ্যে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান সমুহের মান পুরোপুরি অক্ষত অবস্থায় থাকে। এটি সাধারণত: রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
ভারজিন অলিভ ওয়েল
ইহা এক্সট্রা ভারজিন অলিভ অয়েল তেল এর তুলনায় কিছুটা নিম্ন মানের। এর এসিডিটি লেভেল প্রায় ১.৫%। এর রয়েছে খুব সুন্দর সুগন্ধ এবং এটিও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে, বাজারে এটি সচারাচর পাওয়া যায়ন। একটু বিরল প্রকৃতির তেল।
রিফাইনড অলিভ ওয়েল
ইহা পরিশোধিত তেল। এটি সচারাচর মুদি বা গ্রোসারি দোকানে পাওয়া যায়। দামে এটি তুলনামুলক সস্তা। এক্সট্রা ভারজিন ও ভারজিন তেলের তুলনায় এর পুষ্টি উপাদান এবং স্বাদ ও গন্ধে নিম্ন মানের। এখানে এন্টি অক্সিডেন্টের পরিমান কম।
বাজারে যে সব অলিভ ওয়েলের গায়ে পিউর অলিভ ওয়েল বা শুধু অলিভ ওয়েল লেখা থাকে, তারাই হচ্ছে রিফাইনড অলিভ ওয়েল। পরিশোধনের সময় এতে তাপ ও কেমিক্যালস এর ব্যবহার হয়। তাই, এটি নিম্ন মানের।
কোন ধরণের অলিভ অয়েল খাওয়া উচিত
কেনার সময় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল কেনা ভাল। কারণ, এটিতে তাপ ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি। তাই, ইহা অপরিশোধিত তেল। এর মধ্যে আপনি পাবেন অলিভ ওয়েলের আসল সুগন্ধ। এর সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকে অক্ষত।
অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম কি?
অলিভ অয়েল তেলের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। রান্না-বান্না থেকে শুরু করে অনেক কাজেই এর ব্যবহার সমাদৃত। তবে, অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া ভাল।
নিচে অলিভ ওয়েল তেল খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম বলা হল-
- রান্নার কাজে: রান্নার সময় মনে রাখতে হবে, অলিভ অয়েল সহ যেকোন তেল যদি অধিক সময় ধরে তাপের ভিতর থাকে তাহলে এর পুষ্টিগুন খারাপ হয়ে যায়।তাই, এর পুষ্টিগুন ধরে রাখার জন্য রান্নার কাজে যত কম সময় এটিকে তাপে রাখা যায় তত ভাল।
- রুটি দিয়ে: অলিভ ওয়েল তেলের ভিতর রুটি ভিজিয়ে খাওয়া।
- সালাডের সাথে: সালাড বা সবজির সাথে মিশিয়ে ।
- সরাসরি পান করে: তবে এক্ষেত্রে দৈনিক ৬০ এম এল এর বেশী নয়।
অলিভ অয়েলের দাম কত?
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হরেক রকম প্যাক সাইজে অলিভ অয়েল তেল বাজারজাত করা হয়। এর গুনগত ঐ ব্র্যান্ডসমুহের সুনাম ও বৈশিষ্টের উপর তারতম্য হতে পারে। তাই এর দামেরও ভেদাভেদ লক্ষণীয়।
সময়ে সময়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে এর দাম উঠা নামা করতে দেখা যায়। ভারতের বাজারে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার সুত্র অনুযায়ি ধরণভেদে এর দাম উল্লেখ করা হল।
ভাল মান সম্পন্ন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল এর বাজার মুল্য প্রায় ১২০০ রুপি