হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম
হার্ট ব্লক বা হৃদযন্ত্রের সংকেত চলাচলের বাধা হলো এমন এক কঠিন অবস্থাা যেখানে হৃদপিন্ডের স্পন্দন্দন ধীরগতির বা অনিয়মিত হয়ে যায়।
হার্টে বিদ্যুত সংকেতের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়, যার ফলে হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়, ও কখনো কখনো হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকিও তৈরী হতে পারে।
হার্ট ব্লকের ধরণ
হার্ট ব্লক হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়।
এই বাধার ফলে হৃৎস্পন্দন ধীর বা অনিয়মিত হতে পারে। হার্ট ব্লকের তীব্রতা ও ধরন অনুযায়ী এর লক্ষণ ও চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে।
তিনটি প্রধান ধরণের হার্ট ব্লক হতে পারে।
প্রথম ডিগ্রী হার্টব্লক
- এটি হার্ট ব্লকের সবচেয়ে হালকা রূপ।
- এই অবস্থায় হৃদপিণ্ডের অ্যাট্রিয়া (উপরের কক্ষ) এবং ভেন্ট্রিকল (নিচের কক্ষ) এর মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেত স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ধীরে চলাচল করে।
- অনেক সময় রোগীরা এই ধরণের হার্ট ব্লকের কোনো লক্ষণই অনুভব করেন না।
- সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
লক্ষণ
- হালকা বুকে ব্যথা I
- ক্লান্তি I
- মাথা ঘোরা I
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া I
দ্বিতীয় ডিগ্রী হার্টব্লক
- এই ধরণের হার্ট ব্লকে কিছু বৈদ্যুতিক সংকেত অ্যাট্রিয়া থেকে ভেন্ট্রিকলে পৌঁছাতে পারে না।
- এর ফলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে।
- দ্বিতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লককে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় I
টাইপ I (ওয়েনকেবাচের এভি ব্লক)
- এই ধরণের হার্ট ব্লকে, হৃৎস্পন্দন ধীরে ধীরে ধীর হতে থাকে এবং মাঝে মাঝে এক বা একাধিক স্পন্দন বাদ পড়ে।
- সাধারণত তেমন গুরুতর নয়।
টাইপ II (Mobitz Type II)
- এই ধরণের হার্ট ব্লকে, হঠাৎ করে কিছু বৈদ্যুতিক সংকেত অ্যাট্রিয়া থেকে ভেন্ট্রিকলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
- এর ফলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত এবং ধীর হতে পারে।
- টাইপ I এর তুলনায় এটি বেশি গুরুতর।
লক্ষণ
- প্রথম ডিগ্রী হার্ট ব্লকের মতোই I
- বুকে তীব্র ব্যথা I
- শ্বাসকষ্ট I
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া I
তৃতীয় ডিগ্রী হার্টব্লক
- এটি হার্ট ব্লকের সবচেয়ে গুরুতর রূপ।
- এই অবস্থায় অ্যাট্রিয়া ও ভেন্ট্রিকলের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
- হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত ধীরগতিতে (মিনিটে 40 বারের কম) এবং অনিয়মিতভাবে কাজ করে।
- তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
লক্ষণ
- দ্বিতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লকের মতোই I
- বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া I
- হৃৎপিণ্ডের ব্যর্থতা I
হার্ট ব্লকের উপসর্গ
হার্ট ব্লক হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। এই বাধার ফলে হৃৎস্পন্দন ধীর বা অনিয়মিত হতে পারে। হার্ট ব্লকের তীব্রতা ও ধরন অনুযায়ী এর লক্ষণ ও চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে।
উপসর্গের তীব্রতা
- স্পর্শকাতর: অনেক সময় হার্ট ব্লক কোনো লক্ষণই প্রকাশ করে না, বিশেষ করে প্রথম ডিগ্রী হার্ট ব্লকের ক্ষেত্রে।
- মাঝারি: দ্বিতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লকের ক্ষেত্রে, রোগীরা হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
- গুরুতর: তৃতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লক, যা হার্ট ব্লকের সবচেয়ে গুরুতর রূপ, তীব্র এবং জীবন-হুমকির লক্ষণগুলির সাথে যুক্ত।
সাধারণ উপসর্গ
- দুর্বলতা ও ক্লান্তি: হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হলে দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।
- হৃৎস্পন্দনের পরিবর্তন।
- ধীর হৃৎস্পন্দন (ব্র্যাডিকার্ডিয়া): হৃৎস্পন্দন মিনিটে 60 বারের কম হলে।
- অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন: হৃৎস্পন্দনের তাল অনিয়মিত হলে।
- মাথা ঘোরা: হৃৎপিণ্ড মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করতে না পারলে মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: হৃৎপিণ্ড সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
- বুকে ব্যথা: হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ না হলে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট: হৃৎপিণ্ড ফুসফুস থেকে পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে না পারলে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হতে পারে।
অন্যান্য সম্ভাব্য উপসর্গ
- চक्कर आना I
- পরিষ্কার ভাবতে অসুবিধা I
- বমি বমি ভাব I
- ব্যায়ামের সময় অস্বস্তি I
উপসর্গ অনুযায়ী হার্ট ব্লকের ধাপ
- প্রথম ডিগ্রী হার্ট ব্লক: সাধারণত কোনো লক্ষণ থাকে না।
- দ্বিতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লক: উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলির মধ্যে কিছু অনুভূত হতে পারে।
- তৃতীয় ডিগ্রী হার্ট ব্লক: তীব্র এবং জীবন-হুমকির লক্ষণগুলি দেখা দেয়, যেমন বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
হার্ট ব্লকের কারণ
হার্ট ব্লক হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। এই বাধার ফলে হৃৎস্পন্দন ধীর বা অনিয়মিত হতে পারে। হার্ট ব্লকের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং কিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়।
নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণ
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে হার্ট ব্লক হতে পারে।
- কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা: রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমা হতে পারে, যার ফলে হার্ট ব্লক হতে পারে।
- ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন হৃৎপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা: শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা হৃৎপিণ্ডকে দুর্বল করে এবং হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে কারণ
- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- লিঙ্গ: পুরুষদের হার্ট ব্লকের ঝুঁকি নারীদের তুলনায় বেশি।
- বংশগতি: হার্ট ব্লকের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- হৃৎপিণ্ডের রোগ: হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার, হার্ট অ্যাটাক, বা হার্ট ফেইলিওরের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- নির্দিষ্ট রোগ: হাইপোথাইরয়েডিজম, লাইম ডিজিজ, এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো কিছু রোগ হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- জন্মগত ত্রুটি: কিছু জন্মগত ত্রুটি হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিছু বিরল কারণ
- ঔষধ: কিছু ঔষধ, যেমন বিটা ব্লকার্স এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার্স, হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- মাদকদ্রব্য ব্যবহার: মাদকদ্রব্য ব্যবহার হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
হার্টব্লক প্রতরোধ ও চিকিৎসা
হার্ট ব্লক সৃষ্টি না করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। স্বাস্থকর জীবনযাপন যেমন সুসম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা, চাপ নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হার্টব্লক যখনি ধরা পরে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
চিকিৎসার সম্ভাব্যতা গুলো হলো:
হার্টব্লক প্রতিরোধ
হার্ট ব্লক সৃষ্টি না করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন:
- সুসম খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যেমন ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, এবং চর্বিহীন প্রোটিন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, এবং কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
- নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম করা।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান হার্টব্লক সহ অনেক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- চাপ নিয়ন্ত্রণ: চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ: নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা।
হার্টব্লকের চিকিৎসা
হার্টব্লক যখনি ধরা পরে, চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার সম্ভাব্যতা গুলো হলো:
ওষুধপত্র
- হার্টব্লক কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
- কিছু ওষুধ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- অন্যান্য ওষুধ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
পেসমেকার
- গুরুতর হার্টব্লকের ক্ষেত্রে, পেসমেকার যন্ত্রের দ্বারা হৃদপিন্ডের নিয়মিত স্পন্দন্দন বজায় রাখা হয়।
- পেসমেকার একটি ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা হৃৎপিণ্ডের ভেতরে ঢোকানো হয়।
- এটি হৃৎপিণ্ডকে নিয়মিতভাবে স্পন্দিত হতে সাহায্য করে।
হার্টের অস্ত্রোপচার
- কতক ক্ষেত্রে যখন ব্লক সরাসরি ভাবে ব্যায়াম বা পেসমেকার দিয়ে সমাধান করা যায়না তখন সার্জারী প্রয়োজন হতে পারে।
- সার্জারির মাধ্যমে ব্লক অপসারণ করা হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে, হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ প্রতিস্থাপন করা হয়।
হার্টব্লকের চিকিৎসার ধরণ নির্ভর করে ব্লকের তীব্রতার উপর।
হার্ট ব্লক রোগীর জন্য ব্যায়ামের ভূমিকা
সাধারণ সুস্থতার জন্য এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে ব্যায়াম অপরিহার্য। যদিও হার্ট ব্লক নিরাময়ে ব্যায়ামের সরাসরি ভূমিকা এখনো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি, তবুও এটি পরোক্ষভাবে বেশ কিছু উপায়ে উপকার করতে পারে।
ব্যায়ামের সুবিধা
- রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হার্ট ব্লকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা উন্নত করে এবং রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: ব্যায়াম অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে, যা হার্ট ব্লকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- মানসিক সুস্থতা: ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
নিরাপদ ব্যায়াম নির্ধারণ
- কারডিওলজিস্টের ভূমিকা: হার্ট ব্লকের ধরন, এর তীব্রতা, রোগীর বয়স, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত বিষয়ের উপর নির্ভর করে একজন কার্ডিওলজিস্ট্ উপযুক্ত ব্যায়ামের রুটিন, তীব্রতা এবং সময়কাল নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
- স্ট্রেস টেস্ট: স্ট্রেস টেস্টের মাধ্যমে নিরাপদ ব্যায়ামের সীমা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
- হার্ট রেট মনিটরিং: ব্যায়ামের সময় হার্ট রেট নিয়মিত চেক করা এবং একটি নিরধারিত সীমার মধ্যে হার্ট রেট রাখার উদ্দেশ্যে একটি হার্ট রেট মনিটর ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষ বিবেচ্য বিষয়
- পেসমেকার: যাদের পেসমেকার আছে, তাদেরকে ব্যায়ামের মাত্রা নিধারণের সময় কিছু বিশেষ বিবেচনা করতে হয়। কার্ডিওলজিস্ট এ ব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশনা দিতে পারবেন I
- ব্যায়ামের তীব্রতা বৃদ্ধি: ব্যায়ামের দৈর্ঘ্য ও তীব্রতার ব্যাপারে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি আনার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং রোগীকে স্বীয় সীমা অনুধাবনের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
- ওয়ार्ম-আপ এবং কুল-ডাউন: ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম-আপ এবং পরে পর্যাপ্ত কুল-ডাউন করার গুরুত্ব রয়েছে। এটি আঘাতের ঝুঁকি কমায় ও পেশীতে সৃষ্ট টান কমাতে সাহায্য করে।
হার্ট ব্লক রোগীদের ব্যায়ামের পরামর্শ
হার্টব্লক থাকলে ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই আপনার একার্ডলজিস্টের পরামর্শ নিন। তিনি আপনাকে নিশ্চত করবেন কোন ব্যায়ামগুলো আপনার জন্য নিরাপদ এবংআপনাকে সঠিক সময়কাল ও তীব্রতা সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন।
সাধারণভাবে নিম্নলখিত বিষয়গুলোর দিক খেয়াল রাখা প্রয়োজন :
- ধীরেে শুরু করুন: আপনার স্ট্যামিনা ধীরেে ধীরে বাড়তে হবে। কষ্টদায়ক এমন কোনো ব্যায়াম এক্ষণএ-ও করবেন না।
- শরীরের সাথে তাল মেলান: ব্যায়াম করার সময় যদ মনেহয় বুকে ব্যাথা হচ্ছে, মাথা ঘুরছে, দরকার মত বিশ্রাম নিন।
- **নিজস্ব সীমা জানুন:**ক্লান্ত হয়ে গেলে বা কষ্ট হলে ব্যায়াম থামান। শররেকে সময় দিন রিকোভারির জন্য।
- হাঁটা থেকে শুরু করুন: হাঁটা হলো হার্টব্লক আক্রান্ত রোগীদেরজন্য এক আদর্শ কার্ডিও ব্যায়াম।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: স্বাস্থের জন্য সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন, প্রতিদিন ৩০ মিনিটি করে মধ্যম-তীব্রতা্র ব্যায়াম লাভজনক।
উপসংহার
হার্টব্লক একটি কঠিন সমস্যা। প্রতরোধ এবং চিকিৎসার জন্য সক্রিয়ভূমিকা গ্রহণঅপরহার্য। হার্ট ব্লকে আপন কষ্ট হলে তবে অবশ্যই কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।
আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শকরে নিরাপদ ব্যায়াম রুটিনগ্ৰহণ করুন।